তৃতীয় দিনের মতো সুদানের সামরিক বাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষ গড়িয়েছে। রক্তক্ষয়ী এই সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত অন্তত ৯৭ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক। তবে ঠিক কতজন সেনা হতাহত হয়েছে তা জনা যায়নি।
দেশটির রাজধানী খার্তুমের অমদুর্মান শহরে বিমানহামলা ও মর্টার শেল হামলার তীব্রতা বেড়েছে। সোমবারও সেনা সদরদপ্তরে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। নিজ বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। তারা অঞ্চলটিতে বিদ্যুত বিভ্রাট এবং লুটপাটের খবর জানিয়েছেন।
চা ব্যবসায়ীদের সংগঠনের প্রধান ওয়াদিয়া মাহমুক কোকো জানান, সর্বত্র মর্টার শেলা ও গোলাগুলি চলছে। আমার প্রতিবেশির বাড়িতে একটি মর্টার শেল পড়ে ৩ জন মারা গেছেন। কিন্তু তাদের আমরা হাসপাতালে নিতে পারিনি। এমনকি তাদের কবরও দিতে পারিনি।
সুদানের ক্ষমতা দখলের জন্য এক সময়ের মিত্র দেশটির সেনাপ্রধান আবদুল ফাত্তাহ ও প্যারামিলিটারির প্রধান মোহাম্মাদ হামাদান দাগালোর মধ্যে টানাপোড়ন চলছিল। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের সময় একত্রে কাজ করেছিলেন তারা। তবে এখন সমঝোতার জন্য কেউই রাজি নয়। একে অন্যকে আত্মসমর্পনের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
২০১৩ সালে কুখ্যাত জানজায়িদ মিলিশিয়া থেকেই প্যারামিলিটারি র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ) গঠন করা হয়। গঠনের পর থেকেই দুর্ধর্ষ সব কাজ করে আসছিলো আরএসএফ। শুরু থেকেই বাহিনীটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন দাগালো। সোমবার এক টুইট বার্তায় সেনা প্রধানকে ‘উগ্র ইসলামপন্থী’ বলে উল্লেখ করেন দাগালো। আর নিজেকে গণতন্ত্রের রক্ষক বলে মন্তব্য করেন।
এদিকে যুদ্ধবিরতির জন্য আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জাপানে অনুষ্ঠিত জি৭ এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের পাশাপাশি মার্কিন পররাস্ত্রমন্ত্রী এন্টোনি ব্লিঙ্কেন বলেন, সুদানে চলমান যুদ্ধে সুদানের জনগণ, সুদানী জাতি এবং এই অঞ্চলের জন্য যে হুমকি তৈরি করেছে তা উদ্বেগের কারণ।
একুশে সংবাদ.কম/ন.ট.প্র/জা.হা
আপনার মতামত লিখুন :