উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও দক্ষিণ উড়িষ্যা উপকূলের অদূরে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে, যা আরও ঘনীভূত হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) এক সতর্কবার্তায় আবহাওয়া অফিস জানায়, লঘুচাপের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। ফলে দেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে থাকা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সতর্কভাবে চলাচলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ সতর্ক করে জানিয়েছেন, চলতি আগস্টের ১৫ তারিখের পর থেকে সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখের মধ্যে দেশে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। তার মতে, গত পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ এবার সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হতে পারে।
তিনি জানান, সম্ভাব্য এ বন্যায় পদ্মা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর তীরবর্তী ২০ থেকে ৩০টি জেলা প্লাবিত হতে পারে। বর্ষাকালের স্বাভাবিক বন্যা হিসেবে ভারতের গঙ্গা অববাহিকা হয়ে পদ্মায় পানি প্রবেশ এবং তিস্তা-ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর তীরবর্তী এলাকা ডুবে যাওয়া—এবার সেই পরিস্থিতির শঙ্কা করা হচ্ছে।
২০২০ সালের পর এ ধরনের দেশব্যাপী বড় বন্যা হয়নি; সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিলেট (২০২২) ও চট্টগ্রাম (২০২৪) অঞ্চলের বন্যা ছিল মূলত পাহাড়ি ঢল বা ফ্ল্যাশ-ফ্লাড। কিন্তু ২০২৫ সালের সম্ভাব্য বন্যা হবে বর্ষাকালের প্রকৃত প্লাবন, যা দীর্ঘস্থায়ী ক্ষয়ক্ষতি বয়ে আনতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/আ.ট/এ.জে