শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, নির্বাচনের আগে নতুন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছে। আমরা দেখছি, যারা ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যেসব আইডি থেকে এ প্রচারণা শুরু করেছেন এবং বিষয়টিকে এখন একটি আন্দোলনে রূপ দেয়ার চেষ্টা করেছেন, তারা মূলত কোচিং ব্যবসায়ী। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নোট ও গাইড বই ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানী সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ১৫ ধরনের ‘ভুল তথ্য’ তুলে ধরে পাশাপাশি সেগুলোর ‘সঠিক ব্যাখ্যা’ তুলে ধরেন তিনি।
তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক নিয়ে মিথ্যাচার হচ্ছে। গত জানুয়ারিতে এরা সাম্প্রদায়িক উসকানি দেয়ার লক্ষ্যে বই নিয়ে মিথ্যাচার করেছিল। এরা চায় না, শিক্ষার্থীরা স্বাধীনভাবে শিখতে, চিন্তা করতে শিখুক, অনুসন্ধিৎসু হোক, মুক্তবুদ্ধি ও মুক্তচিন্তার চর্চা করুক।
দীপু মনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের শিক্ষার্থীরা যখন উচ্চমাধ্যমিক পাস করবেন, তখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তিপ্রক্রিয়াতেও পরিবর্তন হবে। সেসব কার্যক্রমও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। চাকরির ক্ষেত্রেও পারদর্শিতার মূল্যায়নের ভিত্তিতেই নিয়োগ হবে। যার কার্যক্রমও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বছরের শেষ সময় হরতাল বা সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে রাজনৈতিক কর্মসূচি হতে পারে না।
এসময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/এ.চ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :