করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের চাপ এসেছিল অভিভাবকদের কাছ থেকে। করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এখন ১০ মাস বন্ধের পর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি উঠছে। যদিও সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা আছে।
বেসরকারি সংস্থা গণসাক্ষরতা অভিযানের এডুকেশন ওয়াচ নামের এক সমীক্ষার তথ্য বলছে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ও ৭৬ শতাংশ অভিভাবক বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার পক্ষে। জাতীয় সংসদেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এদিকে, বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
এমন অবস্থায় ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতিসংক্রান্ত নির্দেশনা তারই আলোকে দেওয়া হয়েছে। তবে সুনির্দিষ্টভাবে কবে খুলবে, সেটি নির্ভর করছে করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ও করোনা সংক্রমণ মোকাবিলাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির মতামত অনুযায়ী।
জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ কয়েকজন কর্মকর্তা গত বৃহস্পতিবার ভার্চ্যুয়াল সভা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
সেই বৈঠকে অংশ নেওয়া কয়েকজন ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পক্ষে মত দিয়েছেন।
একুশে সংবাদ/অমৃ
আপনার মতামত লিখুন :