AB Bank
  • ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সবজি-মাছে স্বস্তি, তেল-চালের বাজারে অস্বস্তি


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০১:৫২ পিএম, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫
সবজি-মাছে স্বস্তি, তেল-চালের বাজারে অস্বস্তি

বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে, ফলে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দাম কমতে শুরু করেছে। এই দাম কমানোর ফলে ক্রেতাদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে চাল ও তেলের বাজারে ঘাটতির অজুহাতে অস্থিরতা এখনও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করলে এমন পরিস্থিতি দেখা যায়।

আজকের বাজারে প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়, শালগম প্রতি কেজি ৩০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, সাধারণ শিম ৩০ টাকা, আর বিচিসহ শিম ৪০ টাকা, লম্বা আকৃতির ৪০ টাকা, গোল বেগুন ৫০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, খিঁড়া ৪০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, করলা (হাইব্রিড) ৬০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ফুলকপি, বাঁধাকপি প্রতি পিস ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, গাজর ৪০ টাকা, ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ঝিঙা ৫০ টাকা প্রতি কেজি এবং লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী রাশীদ মিয়া জানান, বর্তমানে বাজারে সবজির দাম তুলনামূলকভাবে কম, যার কারণে এই সময় আসা হলে ইচ্ছেমতো সবজি কেনা যাচ্ছে। তিনি বলেন, কিছু সবজি যেগুলোর মৌসুম এখন নয়, সেগুলোর দাম একটু বেশি, তবে বেশিরভাগ সবজির দাম কমে গেছে। দুই-তিন মাস আগে সবজির দাম অত্যন্ত চড়া ছিল, তখন তিনি নিজেও হাফ কেজি বা আড়াই শ’ গ্রাম করে সবজি কিনেছিলেন। তবে এখন সবজির দাম অনেক কমে গেছে, যা ক্রেতাদের জন্য স্বস্তি নিয়ে এসেছে।

কমেছে মাছের দামও। খুচরা পর্যায়ে মাঝারি সাইজের পাঙাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি, কিছুটা বড় পাঙাস বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৫০ টাকাতে। তেলাপিয়া মাছও বিক্রি হচ্ছে একই দামে ১৮০-১৯০ টাকা। বাজারে সরপুঁটি মাছ ২০০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকায়, বড় আকৃতির রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়, ছোট আকৃতির রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকার নিচে। পাবদা মাছ ৩৫০ টাকা, কার্প ২২০-২৪০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, মলা মাছ ৩৫০ টাকা এবং শোল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজিতে।

সবজি-মাছের দামের নিম্নমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে আলু ও পেঁয়াজের বাজারেও। বর্তমানে প্রতিকেজি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। পাইকারি পর্যায়ে যা কেজিপ্রতি ১৮-২০ টাকা ও আড়তে বিক্রি হচ্ছে ১৬ টাকায়।

সবজি, আলু ও পেঁয়াজের দাম কমায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। তারা বলেন, আমদানি বাড়ালে ও নিয়মিত বাজার মনিটরিং করলে দাম কমবে। এতে স্বস্তি পাবে সাধারণ ভোক্তারা।

তবে অস্থিরতা কমেনি চালের বাজারে। বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট ৮০ টাকা, আটাইশ ৫৮-৬০ টাকা, মোটা স্বর্ণা ৫২-৫৬ টাকা, নাজিরশাইল ৭৬-৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১১৬-১১৮ টাকায়।

একই অবস্থা তেলের বাজারেও। দাম বাড়ানোর এক মাস পরও বাজারে কৃত্রিম সংকট কাটেনি বোতলজাত সয়াবিন তেলের। ভোক্তাদের অভিযোগ, বোতলজাত পাঁচ লিটারের তেল কিছুটা পাওয়া গেলেও এক ও দুই লিটারের বোতলজাত তেল পাওয়া যাচ্ছে না পর্যাপ্ত পরিমাণে। হাতে গোনা দু-একটি দোকানে পাওয়া গেলেও তা নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

আর বোতলজাত সয়াবিন তেলের চেয়েও বেশি দামে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হতে দেখা গেছে। খোলা সয়াবিন তেল কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকায়। তবুও মিলছে পর্যাপ্ত পরিমাণে।

তেলের বাজারের এই অস্থিরতার কথা স্বীকার করে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত তেল সরবরাহ করছে না কোম্পানিগুলো। আবার তেল কিনতে গেলে সঙ্গে অন্য পণ্য কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। এতে কিছুটা সরবরাহ সংকট তৈরি হয়েছে।

এদিকে সয়াবিন তেলের দাম আবারও বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। গত ৯ ডিসেম্বর লিটারে আট টাকা বাড়ানোর পর সম্প্রতি আবারও দাম বাড়ানোর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।

 

একুশে সংবাদ/আ.ট/এনএস

Link copied!