সাত সপ্তাহ টানা দরপতনে নাজেহাল বিনিয়োগকারীরা। তাই বাধ্য হয়ে কমিশন চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবি জানান তারা। এদিকে, শিগগিরই পুঁজিবাজারে সুখবরের আশা দেখছেন না বাজার বিশ্লেষকেরাও। ২০১০ সালে দেশের পুঁজিবাজারে স্মরণকালের ভয়াবহ ধসে পথে বসেন শতশত বিনিয়োগকারী। অনেকে সোনালি দিনের প্রত্যাশা পুষে রেখেও পাননি আশার আলো। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের শুরুতে আশায় বুক বাধলেও দেড় মাসের বেশি সময় ধরে টানা দরপতনে লাখ লাখ টাকা হারিয়ে আবারও দিশেহারা বিনিয়োগকারীরা।
গত দেড় মাসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) পুঁজি হারিয়েছে ৩১ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে গত সপ্তাহেই ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা। ডিএসইর তথ্য বলছে, গত সপ্তাহের প্রতিটি কার্যদিবসে মূলধন কমেছে গড়ে প্রায় ৩৮ শতাংশ। প্রতিদিন বাজার হারিয়েছে ২৫০ কোটি টাকার বেশি।
আর গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে সিংহভাগের, বেড়েছে হাতেগোনা কয়েকটির। সবশেষ রোববার (৭ অক্টোবর) ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ৮৪ পয়েন্ট। এমন টালমাটাল অবস্থায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেছেন বিনিয়োগকারীরা। দাবি জানিয়েছেন, কমিশন চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের।
পরিস্থিতি সামাল দিতে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন কমিশনের নির্বাহী পরিচালকরা। বিএসইসি জানায়, শিগগিরই পরিস্থিতি উন্নয়নে গঠন করা হবে টাস্কফোর্স, মেনে নেয়া হবে যৌক্তিক দাবি। বিএসইর নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, দ্রুতই টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। কমিটির সদস্যরা সবকিছু বিশ্লেষণ করে যে পরামর্শ দিবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, সংস্কারের পথে লোকসান এড়ানোর উপায় নেই। তবে কোম্পানির চেয়ে বিনিয়োগকারীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মত তাদের। পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আল-আমিন বলেন, সংস্কারের পথে কিছুটা লোকসান পড়বে একটি অংশ, যারা হয়ত এটির জন্য দায়ী না। এদিকে, বাজার কারসাজি থেকে বাঁচতে স্বল্প সময়ে লাভ উঠানোর মানসিকতা থেকে সরে আসা ও বাজার বুঝে বিনিয়োগের পরামর্শ বিশ্লেষকদের।
একুশে সংবাদ/বিএইচ



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

