AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

আমিষের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ


Ekushey Sangbad
জাহাঙ্গীর আলম
০৩:১৯ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪
আমিষের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ

বাজারে হু-হু করে বাড়ছে মাছ, মাংস ও ডিমসহ নিত্যপণ্যের দাম। ফলে আমিষের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে সীমিত আয়ের মানুষ। এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাজার মনিটরিং জোরদার করলেও এতে তেমন লাভ হচ্ছে না।

এদিকে আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসাব না মেলায় সীমিত আয়ের পরিবারগুলোর নিত্যপণ্যের তালিকা থেকে বাদ পড়ছে আমিষের অন্যতম উৎস গরুর মাংস। যা বছরে একবার কেনাটাও বহু মানুষের কাছে কঠিন হয়ে গেছে। তাই দোকানে সাজানো মাংস দেখেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।

বুধবার সরেজমিন দেখা যায়, রাজধানীর ধুপখোলা বাজারে মাংস কিনতে আসেন আমিনুল ইসলাম। তিনি পেশে ভ্যান চালক। তিনি বলেন, ৩-৪ মাস পর মাংস কিনতে এসেছি। ৮শত টাকা দিয়ে গরুর মাংস কেনা আমাদের জন্য খুবই কঠিন। মাংসের দাম আগে কম ছিল। কিন্তু এভাবে দাম বাড়লে তো আমরা কিনে খেতে পারবো না। এদিকে একই বাজারে মাছ কিনতে আসেন রিক্সা চালক শিপন সিকদার। তিনি বলেন, প্রতিদিনই যেভাবে মাছে দাম বাড়ছে আমাদের মত নিম্ন আয়ের মানুষদের পক্ষে তা খাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। বাসায় বাচ্চারা মাছ খেতে চাইলেও কিনার মত সামর্থ না থাকায় তাও কিনতে পারছি না। তাদের চাহিদা আমি পূরণ করতে পারছি না। নিত্যপণ্যের দাম যেভাবে বাড়ছে সেই হিসেবে আমাদের আয় বাড়েনি।

টিসিবির হিসেবে, বছর ব্যবধানে গরুর মাংসের দরে কোনো পরিবর্তন না এলেও রাজধানীর শান্তিনগর বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮শ টাকা কেজিতে। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার মনিটরিং টিমকে দেখে তড়িঘড়ি করে মূল্য তালিকা সংশোধন করে নেয় বিক্রেতারা।

যখন গরুর মাংসে হাত দেয়া যাচ্ছে না, তখন সোনালি কিংবা ব্রয়লার মুরগিতে আমিষের চাহিদা মেটানোর চেষ্টায় ব্যবসায়ী ইরফান মিয়া। কিন্তু এখানেও অস্থিরতা। সপ্তাহ ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির কেজিতে বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। সঙ্গে বেড়েছে ডিমের দাম। ডিমের ডজনে বেড়েছে ২০-২৫ টাকা। টিসিবি’র হিসাবে, যা বেড়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ।

ব্যবসায়ী ইরফান মিয়া বলেন, মাছ-মাংস তো এখন খাওয়াই যাচ্ছে না। সাধারণ গরীব মানুষ ডিম দিয়ে খাইতো। সেই ডিমটাও এখন খাওয়া যাচ্ছে না। আজ শুনি একদাম, আবার কাল শুনি আরেক দাম। আরেক ক্রেতা বলেন, সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না বিদায় ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত দাম নিচ্ছে।

স্বস্তির সুবাতাস নেই মাছের বাজারেও। ক্রেতাসাধারণের অভিযোগ, বাজার চলছে ব্যবসায়ীদের ইচ্ছে মতো। এক মাস ব্যবসায়ী বলেন, কারেন্ট বিল ও ভাড়া সব কিছুই বেশি। তাছাড়া জায়গায় জায়গায় চাঁদা বেশি নেয়। এজন্য দাম একটু বেশি হয়। বাজার করতে আসা এক নারী ক্রেতা বলেন, ব্যবসায়ীরাই এক টাকার জিনিস দশ টাকা নেয়। তারা বলে, না কিনলে চলে যাও।

এদিকে চড়া আমদানি শুল্কের প্রভাবে সব ধরনের ডালের দামও ঊর্ধ্বমুখী।

 

একুশে সংবাদ/ন.প্র/জাহা

 

Link copied!