পবিত্র ঈদ-উল-আযহার আগের দিন ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সড়াইল থানার ধামাউড়া গ্রামে একটি নৃশংস হত্যাকান্ডের খবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
ভিকটিম আব্দুর রহিম (৬০) ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানার ফেদিয়ারকান্দি মসজিদের ইমাম ছিলেন। গত ২০ জুলাই তারিখে তার সহোদর দুই ভাই পরিবারসহ ঢাকা হতে ঈদ উদযাপন করতে বাড়িতে এসে দেখে যে, ভিকটিম তার বসত ঘরের ভিটের মাটি ঠিকঠাক করার কাজ করছে।
এ নিয়ে ভিকটিমের সাথে তার ছোট দুই ভাই মোঃ সহেদ মিয়া (৫০) এবং আব্দুল্লাহ (৪০) এর সাথে প্রচন্ড বাক-বিতন্ডা হয়। অতঃপর দুপুর আনুমানিক ১২ টার সময় মোঃ সহেদ মিয়া (৫০) আব্দুল্লাহ (৪০) ভাতিজা মোঃ জুনাইদ মিয়া (২০) এবং আব্দুল্লাহ’র স্ত্রী রতনা বেগম(৩৫) বল্লম ও লাঠি দিয়ে জখম করে ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চিত পূর্বক পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সড়াইল থানায় পেনাল কোড-১৮৬০ এর ৩০২/৩৪ ধারায় মামলা করা হয়।
ঘটনাটি স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় আলোচিত ঘটনা হিসাবে প্রচারিত হলে সিআইডি ঘটনাটির ছায়া তদন্ত আরম্ভ করে। বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এর নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষন ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে আসামীর সম্ভাব্য লুকিয়ে থাকবার সকল স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এর প্রেক্ষিতে সিআইডি’র একটি চৌকস দল মামলার এক নং আসামী মোঃ সহেদ মিয়া (৫০) এবং তার ছেলে তিন নং আসামী মোঃ জুনাইদ মিয়া (২০) কে ঢাকার তেজগাঁও এবং দুই নং আসামী আব্দুল্লাহ (৪০) কে ঢাকার খিলগাও হতে গ্রেফতার করা হয়। মামলা দায়ের হবার পর আসামীরা ঢাকা মহানগরীতে এসে আত্মগোপন পূর্বক মামলার সাক্ষীদের ভয়ভীতি প্রর্দশন করছিলো।
সিআইডি মনে করেন যে, অতি অল্প সময়ে এই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতার সিআইডি তথা বাংলাদেশ পুলিশের একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন।
একুশে সংবাদ/বেলাল/প
আপনার মতামত লিখুন :