AB Bank
  • ঢাকা
  • শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

জামালপুরের ইসলামপুর হানাদারমুক্ত দিবস আজ



জামালপুরের ইসলামপুর হানাদারমুক্ত দিবস আজ

আজ স্বাধীনতার ৫৬ বছর। ডিসেম্বর মাস বাঙালি জাতির গৌরব ও বিজয়ের মাস। ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর জামালপুরের ইসলামপুর পাক হানাদারমুক্ত হয়। জানা যায়, ওইদিন হাজারো মুক্তিকামী মানুষ আনন্দ-উল্লাসে থানা চত্বরে জালাল কোম্পানির কমান্ডার প্রয়াত শাহ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনের হাতে স্বাধীনতার প্রথম বিজয় পতাকা উত্তোলন দেখতে সমবেত হন। দিনটি ইসলামপুরবাসীর জন্য অত্যন্ত গৌরবের।

বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমানসহ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ডিসেম্বর মাস এলেই মন ফিরে যায় ১৯৭১ সালের উত্তাল সেই মার্চে। উপজেলার উত্তর দরিয়াবাদ ফকিরপাড়ার সন্তান কমান্ডার শাহ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনের নেতৃত্বে স্থানীয় মুজাহিদ সদস্য ও অন্যান্য মুক্তিকামী লোকজন ভারতের মেঘালয়ের মহেন্দ্রগঞ্জে স্থাপিত প্রাথমিক রিক্রুট প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দেন।

১১ নম্বর সেক্টর কমান্ডারের নির্দেশে জালাল উদ্দিনের নেতৃত্বে বিভিন্ন পেশার মানুষকে নিয়ে ‘জালাল কোম্পানি’ গঠন করা হয়। পরবর্তীতে তাদের নিয়ে ইসলামপুর সিরাজাবাদ এলাকার বহ্মপুত্র নদের পাড়ে মাদারি ছন আখক্ষেত এলাকায় একটি ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। সেখান থেকে থিওরিটিক্যাল ও প্র্যাকটিক্যাল প্রশিক্ষণ গ্রহণের পাশাপাশি গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনা করা হতো। জালালের নাম অনুসারে বাহিনীটি ‘জালাল বাহিনী’ হিসেবে পরিচিতি পায়।

মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ইসলামপুরের পাক হানাদার ক্যাম্প দখল করতে ৬ ডিসেম্বর দুপুরে পলবান্ধা ইউনিয়নের পশ্চিম বাহাদুরপুর পাইমারী স্কুল মাঠসংলগ্ন ইসলামপুর–সিরাজাবাদ সড়কে জালাল বাহিনী অবস্থান নেয়।
মুক্তিযোদ্ধারা চার ভাগে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন কৌশলগত স্থানে অবস্থান করেন—

১ম প্লাটুন: থানা পরিষদের উত্তর–পশ্চিম কোণ রিশিপাড়া রেলক্রসিং এলাকায়

২য় প্লাটুন: সর্দারপাড়া অষ্টমীটেক খেয়াঘাটসংলগ্ন বহ্মপুত্র নদের দক্ষিণ পাড়ে

৩য় প্লাটুন: থানার পূর্ব পাশে পাকা মুড়িমোড় (বর্তমান ইসলামপুর হাসপাতাল) এলাকায়

৪র্থ রিজার্ভ প্লাটুন: পশ্চিম বাহাদুরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন উত্তর পাশে

৬ ডিসেম্বর দুপুর থেকে পরদিন ভোর পর্যন্ত দফায় দফায় তুমুল যুদ্ধ চলে। মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে হানাদার বাহিনী টিকতে না পেরে অস্ত্র-গোলাবারুদ ও মালামাল ফেলে বিশেষ ট্রেনে করে জামালপুরের দিকে পালিয়ে যায়। পালানোর সময় ঝিনাই ব্রিজসহ তিনটি রেলসেতু ধ্বংস করে ইসলামপুরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

অবশেষে ৭ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে থানা প্রশাসনের মজির উদ্দিন আহমেদ, গণি সরদার, টুআইসি আলাউদ্দিন জোরদার ও হাজারো মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে থানা চত্বরে কমান্ডার শাহ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন স্বাধীনতার প্রথম বিজয় পতাকা উত্তোলন করেন। সে মুহূর্তে ইসলামপুর হানাদারমুক্ত ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, স্পেশাল জালাল কোম্পানি কমান্ডার শাহ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন ২০১৭ সালের ২৭ আগস্ট হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন।

 

একুশে সংবাদ/এ.জে

Link copied!