AB Bank
  • ঢাকা
  • সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বোয়ালখালীতে লাউ চাষে সফল কৃষক সাজ্জাদ



বোয়ালখালীতে লাউ চাষে সফল কৃষক সাজ্জাদ

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার ৫ নম্বর সারোয়াতলী ইউনিয়নের খিতাপচর গ্রামের প্রান্তিক কৃষক মো. সাজ্জাদ হোসেন ৪০ শতক জমিতে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড লাউ চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন।

সাজ্জাদ হোসেন জানান, “ছোটবেলা থেকেই কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। কোন মৌসুমে কোন সবজি আবাদ করলে ফলন ভালো হবে এবং বাজারে আগাম সবজি হিসেবে ভালো দাম পাওয়া যাবে—এসব বিবেচনায় এবার উচ্চ ফলনশীল লাউয়ের বীজ সংগ্রহ করে ৪০ শতক জমিতে আবাদ করেছি।”

তিনি আরও বলেন, “৩ মাস আগে পশ্চিম খিতাপচর এলাকার দক্ষিণ বিলে লাউ চাষ শুরু করি। এতে আমার খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা—যার মধ্যে মাদা তৈরি, মাচা নির্মাণ, সার ক্রয় ও শ্রমিকের মজুরি অন্তর্ভুক্ত।”

ইতোমধ্যে সাজ্জাদের ক্ষেতজুড়ে প্রচুর লাউ ধরেছে এবং তিনি বাজারজাত করছেন। সপ্তাহে দুইবার লাউ সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাইকারি প্রতি লাউ ৩০ টাকা এবং খুচরা ৪০–৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছেন তিনি। সঠিক পরিচর্যা ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আরও দুই মাস ফলন পাওয়া যাবে বলে তার আশা। এতে মোট ৭০–৮০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি সম্ভব হবে এবং সব মিলিয়ে প্রায় ১ লাখ টাকা লাভ হতে পারে।


গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাজ্জাদের বাগানের মাচায় ঝুলছে লম্বা সবুজ লাউ। পুরো বাগানজুড়ে লাউয়ের আধিক্য চোখে পড়ে—দেখে যে কারো মন ভরে যায়।

স্থানীয়রা জানান, শুধুমাত্র লাউ নয়, ধান ও কচুও সফলভাবে চাষ করেন সাজ্জাদ। তিনি পরিশ্রমী ও আন্তরিক কৃষক হিসেবে এলাকায় পরিচিত। বিষমুক্ত সবজি ও নানান ফসল উৎপাদন করে তিনি সংসারের চাহিদা মেটান এবং বাজারে বিক্রি করে আয়ের উৎস তৈরি করেন। তবে একটি কালভার্টের অভাবে খিতাপচর এলাকার ৭০–৮০ জন কৃষক চাষাবাদে নানান ভোগান্তির মুখে পড়ছেন।


উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ‘হাইব্রিড’ একটি উচ্চ ফলনশীল লাউ জাত, যা অতি শীত ছাড়া সারা বছরই চাষ করা যায়। বীজ বপনের ৪০–৪৫ দিনের মধ্যেই লাউ সংগ্রহযোগ্য হয়। প্রচলিত জাতের তুলনায় এই জাতের ফলন ২.৫–৩ গুণ বেশি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) কৃষিবিদ কল্পনা রহমান বলেন, “আগে মূলত শীতকালে লাউ চাষ হতো, এখন সারা বছরই হচ্ছে। ‘নাইস গ্রীন’ একটি অত্যন্ত ভালো জাত। বাজারে লাউয়ের চাহিদা ও ন্যায্য দাম থাকায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। প্রতি হেক্টরে ২৫–৩০ মেট্রিক টন পর্যন্ত উৎপাদন পাওয়া যায়।”
তিনি আরও জানান, লাউ দেখতে আকর্ষণীয়, খেতেও সুস্বাদু এবং বাজারে চাহিদা বেশি হওয়ায় এ জাতের লাউ চাষে কৃষকের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে।

 

একুশে সংবাদ//এ.জে

Link copied!