সিরাজগঞ্জে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় এক ব্যক্তির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উঠেছে অমানবিক নির্যাতন, চাঁদা দাবি ও পুলিশি অসদাচরণের গুরুতর অভিযোগ। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শাহাদত হোসেন (৪৫)। তিনি সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাসপাতালে ভিড় জমান স্বজন ও এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ—ডিবি পুলিশ আটক করার পর শাহাদতকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে, যা তার মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
নিহতের ভাই জহুরুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,“আমার ভাই খুবই সহজ-সরল মানুষ। উল্লাপাড়ায় ভাড়া নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে ধরে ডিবির সাব-ইন্সপেক্টর নাজমুল হোসেন। পরে অমানুষিক নির্যাতন করে হত্যা করেছে। আমাদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে অটোচুরি মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়।”
শাহাদতের ছেলে নাঈম শেখ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন,“আমার বাবা নির্দোষ। যারা তাকে নির্যাতন করে মেরেছে তাদের বিচার চাই। আমরা গরিব মানুষ—পাঁচ লাখ টাকা কোথায় পাব? টাকা না দেওয়ায় বাবাকে মেরে ফেলেছে।”
হাসপাতাল সূত্র জানায়, বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সিভিল পোশাকে কয়েকজন পুলিশ সদস্য শাহাদতকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হেমাদ্রি শেখর সাহা জানান,
“ভর্তির সময় তার হাতের আঙুলে ক্ষত ছিল। কীভাবে আঘাত পেয়েছেন জানতে চাইলে পুলিশ সদস্যরা ‘পাবলিক অ্যাসল্ট’ বলে উল্লেখ করেন।”
ঘটনার বিষয়ে জানতে সিরাজগঞ্জ ডিবির ওসি আবু বকর সিদ্দিক ও সাব-ইন্সপেক্টর নাজমুল হক-এর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
একুশে সংবাদ//এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

