চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় অনুমোদনহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো বহুদিন ধরে শুধু “অনুমোদনের আবেদন” করার অজুহাতে নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালিয়ে আসছে। স্বাস্থ্যখাতে অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলেও উপজেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো অভিযান পরিচালিত হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, এসব অনুমোদনহীন ল্যাব ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মাসিক মাসোয়ারার ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎ করেই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দীপক ত্রিপুরা বৃহস্পতিবার দুপুরে আনোয়ারা মা ও শিশু হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। বিভিন্ন অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ অভিযান উপজেলায় সচেতন মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিকদের অভিযোগ, স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে “ব্যাঙের ছাতার মতো” গড়ে উঠেছে অনুমোদনহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টার। শুধু আবেদন করলেই বছরের পর বছর প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে তারা। দ্রুত সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করে এসব প্রতিষ্ঠানকে নিয়মতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে আনার দাবি জানান তারা।
এর আগেও পূর্ববর্তী ইউএনওর নেতৃত্বে কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে অনিয়ম ধরা পড়ে এবং বড় অঙ্কের জরিমানাও করা হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে সেই তৎপরতা শিথিল হওয়ায় পরিস্থিতি আবার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আনোয়ারা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল নূর চৌধুরী বলেন,“উপজেলার সকল অবৈধ ল্যাব ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর ও সুনির্দিষ্ট অভিযান পরিচালনা করা জরুরি। পাশাপাশি সেবার ফি তালিকা প্রকাশ্যে টাঙানো বাধ্যতামূলক করতে হবে।”
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহতাবউদ্দিন চৌধুরী বলেন,“আমরা নিয়মিত ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো মনিটরিং করি।”
অন্যদিকে উপজেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দীপক ত্রিপুরা বলেন,“স্বাস্থ্যসেবার মান রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের অভিযান নিয়মিতভাবে চলবে। যেখানে অনিয়ম পাওয়া যাবে, সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
একুশে সংবাদ//এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

