সিলেট টেস্টের প্রথম দিনটা শুরুতে বাংলাদেশের দখলেই ছিল, কিন্তু শেষ দিকে হাতছাড়া হয় নিয়ন্ত্রণ। দিনের খেলা শেষে আয়ারল্যান্ড ৮ উইকেটে ২৭০ রান করে ইনিংস অপরিপূর্ণ রেখেছে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামে সফরকারীরা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নিকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন হাসান মাহমুদ। রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন তিনি, বাংলাদেশ পায় স্বপ্নের সূচনা।
তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ম্যাচে ফিরে আসে আয়ারল্যান্ড। কেড কারমাইকেল ও পল স্টার্লিংয়ের ব্যাটে গড়ে ওঠে ৯৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ। এই সময় বাংলাদেশের ফিল্ডাররা কয়েকটি সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করে, যা দিনের শেষে বড় আক্ষেপ হয়ে দাঁড়ায়। সাদমান ইসলাম, তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ— তিনজনই একাধিকবার সুযোগ নষ্ট করেন।

স্টার্লিং ওয়ানডে ধাঁচে ব্যাট চালিয়ে ৭৬ বলে ৬০ রান করেন। নাহিদ রানার গতিময় ডেলিভারিতে স্লিপে সাদমানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন তিনি। কিছু পরেই মিরাজের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন হ্যারি টেক্টর।
এরপর কারমাইকেল হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে মিরাজের বলে ক্যাচ দেন শান্তর হাতে। ১২৯ বল খেলে করেন ৫৯ রান।
মাঝে ক্যাম্ফার (৪৪) ও টাকার (৪১) কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও দুজনকেই ফেরান স্পিনার হাসান মুরাদ ও মিরাজ। দিনের শেষ বিকেলে তাইজুল ইসলাম শেষ উইকেটের আশায় বল হাতে নেন এবং নিল জর্ডানকে এলবিডব্লিউ করে দেন।
শেষ পর্যন্ত আয়ারল্যান্ডের ইনিংস ৮ উইকেটে ২৭০ রানে থামে। ক্রিজে অপরাজিত আছেন ম্যাককার্থি (২১*)।
বাংলাদেশের পক্ষে মেহেদী হাসান মিরাজ সর্বাধিক ৩ উইকেট নেন ৫০ রান খরচায়। হাসান মুরাদ ও তাইজুল ইসলাম নেন ২টি করে উইকেট, আর হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা শিকার করেন একটি করে উইকেট।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

