AB Bank
  • ঢাকা
  • সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী
গৌরীপুরে বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব:

সমাবেশকে কেন্দ্র করে উত্তর জেলা যুবদল সভাপতির সংবাদ সম্মেলন


Ekushey Sangbad
মো. হুমায়ুন কবির, গৌরীপুর, ময়মনসিংহ
০৬:০১ পিএম, ১০ নভেম্বর, ২০২৫

সমাবেশকে কেন্দ্র করে উত্তর জেলা যুবদল সভাপতির সংবাদ সম্মেলন

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বিএনপির দলীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে ৯ নভেম্বর রবিবার দফায় দফায় সংঘর্ষ, হামলা-ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে উত্তর জেলা ছাত্রদলের নেতা আবিদ নিহত এবং কমপক্ষে ২৫–৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, ময়মনসিংহ জেলা উত্তর শাখা।

সোমবার বিকাল ৪টায় গৌরীপুর যুবদলের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা উত্তর যুবদলের সভাপতি মোঃ শামছুল হক (ভিপি শামছু)। তিনি জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রার্থী ছিলেন। পরে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসাইনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। মনোনয়ন প্রত্যাশী পাঁচজনের মধ্যে তিনজন সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরন তা মেনে না নিয়ে আন্দোলন ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন।

ভিপি শামছু অভিযোগ করেন, হিরনের অনুসারীরা রেলপথ ও সড়কপথ অবরোধ করে অগ্নিসংযোগ ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছেন। ৮ নভেম্বর রাতে উত্তর বাজারস্থ জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন পাপ্পু-র ব্যক্তিগত কার্যালয়ে হামলা চালানো হয় এবং তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। ওই রাতে পুলিশ ২ জনকে আটক করে। পরদিন যৌথ বাহিনীর অভিযানে সরকারপাড়ার একটি এনজিও অফিস থেকে ৩৪টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয় এবং ৪ জনকে আটক করা হয়।

৯ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে গৌরীপুর সরকারি কলেজ হোস্টেল মাঠে দলীয় প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসাইন সমাবেশে অংশ নিতে গেলে পাটবাজার মোড়ে তার গাড়িবহরের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। একই সময়ে কালীপুর এলাকায় উত্তর জেলা যুবদল ও পৌর যুবদল কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, দুই শতাধিক চেয়ার, পাঁচটি বড় চেয়ার, একটি টেবিল ও একটি এলইডি টিভি লুট এবং শহীদ জিয়া, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবকদলের অফিসে ফার্নিচার ভাঙচুরসহ ব্যানার ছিঁড়ে রাস্তায় অগ্নিসংযোগ করা হয়। মোটরসাইকেলের ওপরও হামলা চালিয়ে অর্ধশতাধিক বাইক ভাঙচুর করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, ঘটনার সময় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গত সংঘর্ষে আহত জেলা ছাত্রদল নেতা আবিদ মারা যান।

প্রেস ব্রিফিংয়ে মোঃ শামছুল হক (ভিপি শামছু) এসব হামলা-ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা জানান এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

 

একুশে সংবাদ/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!