মাগুরার শ্রীপুরে নিত্য লীলায় প্রবিষ্ট প্রভুদান শ্রীল ১০৪ কুঞ্জ বিহারী দাস বাবাজী মহারাজের তিরোধান বিরোহ মহোৎসব স্মরণ ও রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে সাধু-গুরু-বৈষ্ণব সেবা ও মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানটি খামারপাড়া শ্রীশ্রী গিরিধারী জিউ মন্দির ও আশ্রম প্রাঙ্গণে আশ্রমের শ্রীমৎ অসিম কৃষ্ণ দাস বাবাজী মহারাজ ও আশ্রমের সকল ভক্তবৃন্দের আয়োজনে সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানটি শুক্রবার বিকেল থেকে শুরু হয়ে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চলেছে।
মহাসম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন খামারপাড়া শ্রীশ্রী গিরিধারী জিউ মন্দিরের বাবাজী মহারাজ, এবং সার্বিক ব্যবস্থাপণায় স্থানীয় পুরোহিতগণসহ বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা ও বিভিন্ন আশ্রমের পুরোহিত ও সেবায়েতগণ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শ্রীপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মনোরঞ্জন সরকার, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অপূর্ব মিত্র, সহ-সভাপতি রথীন্দ্রনাথ ভৌমিকসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত হাজারো সাধু-গুরু-বৈষ্ণব ও ভক্তবৃন্দ।
মনোরঞ্জন সরকার বলেন, “খামারপাড়া শ্রীশ্রী গিরিধারী জিউ মন্দির প্রাঙ্গণে আশ্রমের শ্রীমৎ অসিম কৃষ্ণ দাস বাবাজী মহারাজের সহযোগিতায় বৈষ্ণব সেবা ও সাধুসঙ্গ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সাধু-গুরু-বৈষ্ণব ও হাজার হাজার ভক্তবৃন্দ উপস্থিত হয়েছেন। এটি একটি ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠান। আশা করি ভবিষ্যতেও এ ধরনের অনুষ্ঠান চলমান থাকবে।”
অপূর্ব মিত্র বলেন, “বিশ্ব মানবতার শান্তি এবং দেশের সমৃদ্ধি কামনায় শ্রীমৎ অসিম কৃষ্ণ দাস বাবাজী মহারাজ এ অনুষ্ঠান আয়োজন করেছেন। এটি জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সমৃদ্ধি ও উন্নতি বয়ে আনবে।”
শ্রীমৎ অসিম কৃষ্ণ দাস বাবাজী মহারাজ বলেন, “সারা বাংলাদেশের মধ্যে এটি একটি ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান। যে অনুষ্ঠানটি অন্য কোথাও আগে অনুষ্ঠিত হয়নি। সারাদেশ থেকে দুইশতাধিক আশ্রমের সাধু-গুরু-বৈষ্ণবসহ হাজার হাজার ভক্তবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের অনুষ্ঠান চলমান থাকবে। তবে, সৃষ্টিকর্তার কৃপা ও ভক্তবৃন্দের সহযোগিতা ছাড়া এটি এত সুন্দরভাবে আয়োজন সম্ভব হতো না।”
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

