AB Bank
  • ঢাকা
  • সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

৪ বছর ১০ মাসেও শেষ হয়নি কোটচাঁদপুরের একাডেমিক ভবনের নির্মাণ


Ekushey Sangbad
সুব্রত কুমার, কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ
০৩:১৫ পিএম, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫

৪ বছর ১০ মাসেও শেষ হয়নি কোটচাঁদপুরের একাডেমিক ভবনের নির্মাণ

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের সাবদারপুর মুনসুর আলী একাডেমীর নির্মাণাধীন একাডেমিক ভবনের কাজ চার বছর দশ মাসেও সম্পন্ন হয়নি। কক্ষ সংকটে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছেন সায়েন্স ল্যাব, কমন রুম এবং কম্পিউটার ল্যাবে। প্রকৌশলী সুব্রত কুমার পাল জানিয়েছেন, দ্রুত রি-টেন্ডার করে নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।

বিদ্যালয়টি ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সুনামের সঙ্গে চলছে। বর্তমানে এখানে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৬৫০ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। তাদের জন্য ১৮–২০টি কক্ষ প্রয়োজন হলেও বর্তমানে বিদ্যমান কক্ষের সংখ্যা মাত্র ১৪টি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থীদের কমন রুম, সায়েন্স ল্যাব, কম্পিউটার ল্যাব এবং শিক্ষকদের অফিস।

জরুরি কক্ষের জন্য বিদ্যালয় প্রধান সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যালয়টি ৮০ লাখ টাকার ৪ তলা একাডেমিক ভবনের কাজ পান। নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের ১৩ জানুয়ারি। তবে কাজটি কয়েকবার বন্ধ হয়ে যায় এবং সম্প্রতি জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল করে। বর্তমানে এটি রি-টেন্ডারের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

কক্ষ সংকটের কারণে শিক্ষার্থীরা পাঠদান নিয়ে সমস্যায় পড়ছেন। ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সিয়াম আহমেদ বলেন, “কক্ষ সংকটে আমাদের বসার উপযুক্ত জায়গা নেই। ভালোভাবে বসতে না পারায় ক্লাস করতে আমাদের অনেক সমস্যা হয়।” অন্য শিক্ষার্থীরাও জানিয়েছেন, কখনও তারা কমন রুমে, কখনও সায়েন্স ল্যাবে, আবার কখনও কম্পিউটার ল্যাবে ক্লাস করছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিন উদ্দিন বলেন, “বিদ্যালয়ে সাড়ে ছয়শ শিক্ষার্থী পড়ছে। তাদের জন্য প্রয়োজন ১৮–২০টি কক্ষ, কিন্তু আছে মাত্র ১৪টি। কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ভোগান্তির মধ্য দিয়ে ক্লাস করছেন।”

জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী সুব্রত কুমার পাল জানান, “ঠিকাদারের দায়িত্বে গুরুত্বহীনতার কারণে কাজ বন্ধ ছিল। তাঁকে বারবার নির্দেশ দিয়ে পুনরায় কাজ শুরু করানো হয়। দীর্ঘদিন কাজ অসম্পন্ন থাকায় ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে। দ্রুত রি-টেন্ডার করে নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।”

 

একুশে সংবাদ/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!