রাজশাহীর তানোরে সার সিন্ডিকেট, সেচের পানির সমস্যা এবং আলুর ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ দাবিতে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং ইউএনওকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। রবিবার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১২টায় তানোর উপজেলা চত্বরে বাংলাদেশ কৃষিজীবী শ্রমিক আয়োজিত এ সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় কৃষকরা।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, সরকার নির্ধারিত দামে প্রয়োজনমতো সার পাওয়া যাচ্ছে না। বাজারে দাম বেশি দিলে সারের অভাব দেখা না গেলেও কৃষকরা সঠিক মূল্যে সার পায় না। কৃষি কর্মকর্তারা বিষয়টি জানতে চাইলে বলেন, সার বাইরে থেকে আসে, তাই দাম বেশি—এ মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন কৃষকরা।
কৃষকরা দাবি করেন, অবিলম্বে সার সিন্ডিকেট বন্ধ করে সরকার নির্ধারিত দামে সার বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে।
একক ব্যক্তিকে সেচ কার্যক্রমের দায়িত্ব দেওয়ার ফলে সেচ খাতে স্বেচ্ছাচারিতা চলছে। আলু চাষে প্রতি বিঘায় ১,৫০০ টাকা এবং ধান চাষে ২,০০০ টাকা পর্যন্ত সেচ খরচ হচ্ছে। প্রয়োজনের তুলনায় কম পানি দেওয়া হচ্ছে, ফলে ফসলের ফলন কমছে। তারা দাবি করেন, সেচ স্কিমের আওতাভুক্ত কৃষকদের নিয়ে সেচ কমিটি গঠন করতে হবে এবং সেচ কার্যক্রম সমিতির মাধ্যমে পরিচালনা করতে হবে।
কৃষকরা আরও অভিযোগ করেন, কীটনাশকের দাম ও মান দুটিতেই অনিয়ম হচ্ছে। প্যাকেটে দাম লেখা থাকে ৯০০ টাকা, কিন্তু বাজারে বিক্রি হয় ৫০০–৬০০ টাকায়। এক মৌসুমে ৬–৭ বার কীটনাশক ব্যবহার করেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যাচ্ছে না। তারা দাবি করেন, কীটনাশকের নির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণ এবং ভেজাল প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সমাবেশে আলু সংরক্ষণের ষ্টোর ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। আগে কেজি প্রতি ভাড়া ছিল ৪ টাকা, বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৬ টাকা হয়েছে। কৃষকরা বলেন, “যে কোনো মূল্যে আগের ভাড়া বহাল রাখতে হবে, যাতে কৃষকদের দুর্দশা কিছুটা লাঘব হয়।”
সমাবেশ শেষে কৃষক প্রতিনিধি দল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), কৃষি কর্মকর্তা এবং বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) সহকারী প্রকৌশলীর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

