সাম্প্রতিক সময়ে আলিফ হত্যা, মহিবুল্লাহ গুম, গাজীপুরে মাদ্রাসাছাত্রী আশামনি ধর্ষণ, বুয়েটের ধর্ষণসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ সৃষ্টি হয়েছে। এসব ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এবং উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে কিশোরগঞ্জে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) জুমার নামাজের পরে কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক শহীদি মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে সর্বস্তরের মুসলিম তৌহিদী জনতার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি আখড়াবাজার, স্টেশন রোড, পুরানথানা, গৌরাঙ্গবাজারসহ প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় শহীদি মসজিদে এসে এক বিশাল সমাবেশে পরিণত হয়।
মিছিলে অংশগ্রহণ করেন আশরাফুল ইসলাম নাদিম, মুহাম্মাদ মুযাক্কির হুসাইন, মো: বরকতুল্লাহ, শেখ মুদ্দাছির তুসি, মো. কামরুজ্জামান, মো. জাকির হুসাইমসহ স্থানীয় ছাত্র নেতা ও মুসল্লিরা।
সমাবেশে বক্তারা সাম্প্রতিক ধর্ষণ, হত্যা ও ধর্মীয় অবমাননার ঘটনাগুলোকে অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ও উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেন। তারা বলেন, দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন ভয়াবহভাবে বেড়ে চলেছে। অপরাধীরা বিচারহীনতার কারণে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হলে এসব অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, ইসকনের কর্মকাণ্ড দেশের সামাজিক সম্প্রীতি ও ধর্মীয় সহনশীলতার পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এই সংগঠনটি বাংলাদেশের মুসলমানদের অনুভূতিতে আঘাত করছে এবং উগ্রবাদী হিন্দুত্ববাদী চিন্তাধারা ছড়িয়ে সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করছে। বক্তারা দাবি করেন, ইসকনসহ ধর্মীয় উগ্রবাদ ছড়ানো সকল সংগঠন অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে।
বক্তারা বলেন, ধর্ম নিয়ে খেললে কোনো ধর্মের মানুষ চুপ থাকবে না। ইসকনের এই কার্যকলাপ বন্ধ না হলে দেশের সর্বত্র আন্দোলনের আগুন জ্বলে উঠবে। তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান যেন সমাজে শান্তি ও ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় দ্রুত ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
এছাড়াও বক্তারা সমাজে ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ নৈতিক অবক্ষয় রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, ইসলামী মূল্যবোধ চর্চা, পরিবারে নৈতিক শিক্ষা জোরদার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকর ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিক্ষোভ ও সমাবেশে বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতাকর্মী, স্থানীয় জনসাধারণ এবং বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। কর্মসূচির শেষে সংক্ষিপ্ত দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে শান্তি, ন্যায়বিচার ও দেশবাসীর কল্যাণ কামনা করা হয়।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

