ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম সিরাজুল হক (সিরু মিয়া)-এর ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করা হয়েছে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুই দিনব্যাপী এ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল, কবর জিয়ারত এবং মসজিদে বিশেষ মোনাজাত।
জানা যায়, মরহুম এ কে এম সিরাজুল হক (সিরু মিয়া) ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মৃত শামসুজোহা। শৈশব ও কৈশোর কেটেছে কোটচাঁদপুর শহরে। স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষে তিনি ভর্তি হন ঝিনাইদহ কেজি কলেজে, সেখান থেকেই তিনি এইচএসসি ও ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
রাজনীতিতে তাঁর হাতেখড়ি কলেজ জীবনেই। তিনি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে কোটচাঁদপুরে ফিরে এসে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হন এবং পৌর বিএনপির নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৮৯ সালে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। পরে ১৯৯২ সালে কোটচাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং একটানা ২০০১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ওই বছরের ২৩ অক্টোবর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুই ছেলে এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান তিনি।
এ বছর দলীয়ভাবে কোনো আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি না থাকলেও পরিবারের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকালে কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচি শুরু হয়। পরে কোটচাঁদপুর পৌর মহিলা কলেজে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শরিফুজ্জামান তুহিন। প্রধান অতিথি ছিলেন কলেজের সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র এস.কে.এম. সালাহউদ্দিন বুলবুল সিডল। আলোচনা সভায় বক্তারা মরহুম সিরাজুল হক সিরু মিয়ার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনের নানা দিক তুলে ধরেন।
সালাহউদ্দিন বুলবুল সিডল বলেন, “২৩ অক্টোবর ছিল আমার পিতার ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি ২০০১ সালে কোটচাঁদপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন মৃত্যুবরণ করেন। এ বছর দলীয়ভাবে কর্মসূচি না থাকলেও পারিবারিকভাবে কবর জিয়ারত, দোয়া মাহফিল ও মসজিদে মসজিদে দোয়ার আয়োজন করা হয়।”
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

