হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী, দেবী শ্যামা শান্তি, সংহতি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ঢাকঢোল পিটিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে শ্যামাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই পূজাকে ‘দীপাবলি’ বা ‘দিওয়ালি’ নামেও পরিচিত, যার অর্থ হলো প্রদীপের সারি। শ্যামা উৎসবে প্রদীপের আলো চারদিকে আলোকিত হয়, যা অশুভ শক্তির অন্ধকার দূর করার প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়।
গতকাল উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের পূজামণ্ডপে হিন্দু ধর্মালম্বীরা রাতভর পূজা অর্চনা ও ভক্তি করেছেন। সাধারণত হিন্দু রীতি অনুযায়ী দুর্গাপূজার পরপরই শ্যামাপূজা উদযাপিত হয়।
পূজা শেষে মহাশক্তির প্রতীক কালীকে সন্তুষ্ট করার জন্য একজন ঠাকুরের মাধ্যমে পাটাবলি দেওয়া হয়। এরপর বলিকৃত পাটার মাংস দিয়ে খিঁচুড়ি রান্না করা হয় এবং তা সবার মাঝে বিতরণ করা হয়।
শ্যামা পুজার তাৎপর্য ও বিভিন্ন দিক তুলে ধরে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন পুরোহিত জানান, “শ্যামা পূজা বা কালী পূজা হলো দেবী কালীকে উৎসর্গ করা একটি উৎসব। এটি শক্তি, জ্ঞান ও অশুভ শক্তির বিনাশের প্রতীক হিসেবে পূজিত হয়। এটি দীপাবলির অংশ এবং আলোর মাধ্যমে অশুভের অন্ধকার দূর করা ও শান্তি, সংহতি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার প্রতীক বহন করে। এছাড়া এই উৎসবে দেবী কালীর আরাধনার পাশাপাশি পূর্বপুরুষদের স্মরণে প্রদীপ জ্বালানো হয়।”
স্থানের ঠাকুর নয়ন বলেন, “দেবী কালী শক্তি, প্রজ্ঞা এবং জ্ঞানের প্রতীক। তিনি দুর্গার একটি শক্তি রূপ এবং অশুভ শক্তিকে দমন করেন। হিন্দু শাস্ত্রে তিনি সময়ের নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবেও পূজিত হন।”
লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, কালী শ্মশানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী, তাই বিভিন্ন অঞ্চলের শ্মশানেও শ্মশান কালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
একুশে সংবাদ/এ.জে