দীর্ঘ আট মাস পর অবশেষে স্বদেশের মাটিতে ফিরলেন ভারতের সাগর উপকূলে উদ্ধার হওয়া ১২ বাংলাদেশি নাবিক। শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
ইমিগ্রেশন পুলিশের আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে তাদের বেনাপোল পোর্ট থানার নিকট হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে মানবাধিকার সংস্থা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার-এর সহায়তায় নাবিকদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম চলছে।
ফিরে আসা নাবিকরা হলেন— বাগেরহাট জেলার রাজিব শেখ (২৭), শরিফুল শেখ (২০), বাপ্পি শেখ (১৮), মোহাম্মদ আলী (৪৪); মাগুরা জেলার মিহাত ফকির (২২), তরিকুল ইসলাম (২৯); নড়াইল জেলার শাওন মোল্লা (২৫), জিহাদ মোল্লা (২৫), আহাদ শেখ (২৬); গোপালগঞ্জ জেলার আল আমিন শেখ (৩২), সাগর হোসেন (২৬) এবং যশোর জেলার জসীমউদ্দীন শেখ (৫৩)।
জানা গেছে, গত ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ সালে নরসিংদীর ঘোড়াশাল সিমেন্ট ফ্যাক্টরি থেকে সিমেন্টবোঝাই ‘এমভি সি ওয়ার্ল্ড’ নামের জাহাজটি ভারতে যাওয়ার পথে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন জেলার সাগর থানার ঘোড়ামারি দীপ নদীতে দুর্ঘটনায় পড়ে। জাহাজটি ডুবে গেলে ভারতীয় পুলিশ ওই ১২ নাবিককে উদ্ধার করে স্থানীয় কৃষ্ণনগর হাইস্কুল সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় দেয়।
প্রায় আট মাস মানবিক সহায়তায় সেখানে থাকার পর দুই দেশের সরকারের সমন্বয় ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় তারা অবশেষে ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফেরার সুযোগ পেলেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিদর্শক তাজুল ইসলাম বলেন, “ভারতের সাগর উপকূলে উদ্ধার হওয়া ১২ বাংলাদেশি নাবিককে ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে তাদের পোর্ট থানায় প্রেরণ করা হচ্ছে।”
জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার-এর ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর শফিকুল ইসলাম বলেন, “দীর্ঘদিন পর এসব বাংলাদেশি নাগরিক নিরাপদে ফিরে আসায় আমরা আনন্দিত। সব প্রক্রিয়া শেষে তাদের নিজ পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।”
একুশে সংবাদ/এ.জে