গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট বাজারের একটি আবাসিক মেস থেকে বিল্লাল হোসেন (২৯) নামে এক এনজিও কর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ধাপেরহাট দক্ষিণবন্দর এলাকার টিন কাদের সরকারের চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় উত্তরা ব্যাংকের নিচতলায় অবস্থিত এসকেএস এনজিওর আবাসিক মেস থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত বিল্লাল হোসেন পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া উপজেলার কামাতপাড়া দেবনগর গ্রামের এমদাদুল হকের ছেলে। প্রায় দুই মাস আগে তিনি এসকেএস এনজিওর ধাপেরহাট শাখায় সহকারী ব্রাঞ্চ ম্যানেজার হিসেবে যোগ দেন বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির এরিয়া ম্যানেজার মাসুদুর রহমান।
সহকর্মীরা জানান, শুক্রবার অফিস ছুটির দিন হওয়ায় সবাই বাসায় চলে যান। তবে বিল্লাল অফিসের আবাসিক কক্ষে একাই অবস্থান করছিলেন। দুপুরে এক সহকর্মী অফিসের মোটরসাইকেলের চাবি নিতে গেলে দরজা বন্ধ পান। ডাকাডাকির পর কোনো সাড়া না পেয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী হারুন অর রশিদকে খবর দেন। পরে ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রকে বিষয়টি জানানো হয়।
তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ স্বপন সরকার ও এসআই সুপদ রায়ের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজার তালা ভেঙে প্রবেশ করে মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, গামছার এক প্রান্ত সিলিং ফ্যানের সঙ্গে বাঁধা এবং অন্য প্রান্ত বিল্লালের গলায় পেঁচানো অবস্থায় তাকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা অবস্থায় গামছা ছিঁড়ে পড়লে তিনি মেঝেতে পড়ে যান।
এসআই সুপদ রায় বলেন, “লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ স্বপন সরকার বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিল্লাল হোসেন আত্মহত্যা করেছেন। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।”
সাদুল্লাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজ উদ্দিন খন্দকার বলেন, “ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পারিবারিক সমস্যার কারণে মানসিক চাপে তিনি এ ঘটনা ঘটাতে পারেন।”
এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে এবং ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
একুশে সংবাদ/এ.জে