গোপালগঞ্জের এক প্রত্যন্ত গ্রামের বিকেল। সূর্য তখন পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ছে। গ্রামের সরু মেঠোপথে কয়েকজন তরুণ হাতে লিফলেট নিয়ে হাঁটছেন। কখনও কারও উঠোনে থেমে কথা বলছেন, কখনও চায়ের দোকানে বসে সাধারণ মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছেন তাদের ভাবনা।
মুখে শোনা যায় একটাই কথা, রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা প্রস্তাব জানেন?
এ যেন শুধু রাজনৈতিক প্রচার নয়, এক মানবিক অভিযাত্রা বদলে দেওয়া বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রা।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা প্রস্তাব’কে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে মুকসুদপুরের তরুণেরা এখন মাঠে নেমেছেন। এই উদ্যোগের পেছনে আছেন দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম। তাঁর নির্দেশে স্থানীয় নেতাকর্মীরা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন পরিবর্তনের আহ্বান, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বার্তা।
রবিবার বিকেলে মুকসুদপুরের গোবিন্দপুর ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামে এমনই এক কর্মসূচি দেখা যায়। নেতৃত্বে ছিলেন উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাহফুজ হাসান ও উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মনিরুজ্জামান। সঙ্গে ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের অসংখ্য তরুণ কর্মী।
তাদের চোখে-মুখে এক অদম্য বিশ্বাস, সচেতন নাগরিকই পারে রাষ্ট্রকে শক্তিশালী ভিত্তিতে দাঁড় করাতে।
উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাহফুজ হাসান বলেন, মানুষের কাছে তারেক রহমানের প্রস্তাব তুলে ধরা মানে কেবল রাজনীতি নয়, এটা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম। সেলিমুজ্জামান সেলিম ভাইয়ের নির্দেশে আমরা মানুষের কাছে সত্য, অধিকার আর আশার কথা পৌঁছে দিতে মাঠে নেমেছি।
গ্রামের কৃষক, দোকানি, শ্রমজীবী থেকে শুরু করে তরুণ শিক্ষার্থীরাও আগ্রহভরে পড়ছেন লিফলেটের প্রতিটি শব্দ। কেউ কেউ আবার আলোচনায় মেতে উঠছেন। দেশের বর্তমান অবস্থা, মানুষের দুর্দশা, আর ভবিষ্যতের সম্ভাবনা নিয়ে।
রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও একটি বিষয়ে সকলেরই ঐক্য- এই সমাজে পরিবর্তন দরকার, ন্যায়ের ভিত্তিতে গড়া রাষ্ট্র দরকার।
তৃণমূলের এই লিফলেট বিতরণ তাই কেবল একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। এ যেন মানুষের মনে আলোর শিখা জ্বালানোর এক মানবিক প্রয়াস।
কারণ, গ্রামীণ বাংলার এই মানুষগুলোর মধ্যেই লুকিয়ে আছে প্রকৃত বাংলাদেশ, আর তাদের হৃদয়ে জাগানো সচেতনতাই হতে পারে মানবিক রাষ্ট্র গঠনের প্রথম পদক্ষেপ।