২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ডেপুটি রেজিস্ট্রার সাইদুর রহমান জুয়েল। সোমবার রাত ৯টায় দুমকি প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে এ প্রতিবাদ জানান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর পবিপ্রবিতে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ‘নেপথ্যে কর্মকর্তা জুয়েল’ শিরোনামে আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অসত্য, মনগড়া, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি কখনো কোনো পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ছবি তুলি নাই, বাইরে পাঠাই নাই বা এ সংক্রান্ত কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলাম না।”
তিনি আরও বলেন, পরীক্ষার দিন তিনি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী নির্ধারিত কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করেছেন। কেন্দ্র পরিবর্তনের বিষয়টি সম্পূর্ণ প্রশাসনিক, এতে তার কোনো ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত বা সম্পৃক্ততা ছিল না। তার বিরুদ্ধে কথিত স্ক্রিনশট বা ডিজিটাল প্রমাণের কথা বলা হলেও সেগুলো মনগড়া ও ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি বিভ্রান্তিকর উপকরণ হতে পারে বলে দাবি করেন তিনি।
সাইদুর রহমান জুয়েল বলেন, “সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে দুই বছর আগে। এ দীর্ঘ সময়ে উক্ত কেন্দ্র থেকে প্রশ্ন ফাঁসের কোনো অভিযোগ বা প্রমাণ কোথাও উপস্থাপিত হয়নি। পরীক্ষায় আমার কোনো আত্মীয়-স্বজন বা ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেছে বলেও জানা নেই।”
তিনি আরও বলেন, এই মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশের পেছনে যারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে বিষয়টি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে সত্য উদঘাটনের আহ্বান জানান তিনি।
একুশে সংবাদ/এ.জে