ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে জমিজমা নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে খোকন মিয়া (৫০) নামে এক রিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। শুক্রবার রাতে উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের করমা গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত খোকন মিয়া ওই গ্রামের কছিম উদ্দিনের ছেলে।
এ ঘটনায় জোসনা আক্তার ও সোহাগ নামে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে রাত ১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে খোকন মিয়াকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, নিহতের দুই হাত ও দুই পা ভেঙে ফেলা হয়েছিল এবং মাথায় ছিল গুরুতর আঘাতের চিহ্ন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত খোকন মিয়ার বাবা কছিম উদ্দিন ও গিয়াস উদ্দিন আপন দুই ভাই ছিলেন। গিয়াস উদ্দিনের মৃত্যুর পর তার সন্তানদের সঙ্গে কছিম উদ্দিনের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে পূর্বেও একাধিকবার সংঘর্ষ ও মামলা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা ব্যর্থ হলে উত্তেজনা আবার বৃদ্ধি পায়।
সেই পুরোনো বিরোধের জেরে গিয়াস উদ্দিনের ছেলে ও মগটুলা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি নজরুল ইসলাম, তার ভাই বদর উদ্দিন আল সানি বাদলসহ পরিবারের আরও কয়েকজন শুক্রবার রাতে খোকন মিয়াকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিহতের ছেলে বিল্লাল হোসেন বলেন, “জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে নজরুল ও তার ভাইয়েরা আমার বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।”
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওবায়দুর রহমান বলেন, “এটি একটি পূর্ব বিরোধজনিত হত্যাকাণ্ড। আহত অবস্থায় খোকন মিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার দুই হাত-পা ভাঙা ছিল এবং মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।”
একুশে সংবাদ/এ.জে