নড়াইল পৌরসভার ময়লার ভাগাড়ের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন সীতারামপুর এলাকার বাসিন্দারা। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ভাগাড় নির্মাণ করায় কৃষি জমি, মাছের ঘের ও স্থানীয় মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ভোগান্তি দেখা দিয়েছে। গ্রামবাসীর দাবি, ভাগাড় সরিয়ে অন্যত্র নেওয়া হোক, যাতে তারা মুক্ত বাতাসে বসবাস করতে পারেন।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭২ সালে স্থাপিত নড়াইল পৌরসভা ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে “ক্লিন নড়াইল, ড্রিম নড়াইল” প্রকল্প চালু করে। ওই সময় শহরের প্রতিটি বাড়ি থেকে ময়লা সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে শুরু হয়। প্রথমদিকে নতুন বাস টার্মিনালের সামনে ময়লা ফেলার নির্দেশ দেওয়া হলেও পরবর্তীতে সীতারামপুর সেতুর পশ্চিম পাশে জমি অধিগ্রহণ করে ভাগাড় তৈরি করা হয়।
তবে স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, ওই স্থানে ভাগাড় করার কারণে এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে দুর্গন্ধ। কৃষিজমিতে ফসল ফলানো ও মাছের ঘেরে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
সীতারামপুর গ্রামের প্রবীণ মনোরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, “যারা এখানে ভাগাড় করার অনুমতি দিয়েছেন, তারা হয়তো সরেজমিনে আসেননি। এত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কীভাবে ময়লার ভাগাড় করা হলো—তা বোধগম্য নয়।”
মুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য অজিত কবিরাজ বলেন, “এখানে ভাগাড় করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। ময়লার দুর্গন্ধে কৃষক ও মৎস্যচাষীরা চরম অসুবিধার মুখে পড়েছেন। ভাগাড় অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানাই।”
অন্যদিকে নড়াইল পৌর প্রশাসক জুলিয়া সুকায়না বলেন, “এ বিষয়ে এলাকাবাসী বা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোনো আবেদন পাওয়া যায়নি। আবেদন পাওয়া গেলে বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। তাছাড়া অর্থ বরাদ্দ সাপেক্ষে বিকল্প জায়গায় ভাগাড় করার পরিকল্পনা নেওয়া সম্ভব।”
গ্রামবাসীর অভিযোগ, ময়লার দুর্গন্ধে বসবাস দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। তারা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে ভাগাড় অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
একুশে সংবাদ/এ.জে