AB Bank
  • ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ভৈরবে স্কুলের পুরাতন মালামাল আত্মসাতের অভিযোগ আয়াকে ঘিরে



ভৈরবে স্কুলের পুরাতন মালামাল আত্মসাতের অভিযোগ আয়াকে ঘিরে

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার মানিকদী আলফাজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতা কর্মী (আয়া) শরীফা খাতুনের বিরুদ্ধে পুরাতন মালামাল আত্মসাতের অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন স্কুলের সিনিয়র সহকারী শিক্ষিকা লিপি বেগম।

লিপি বেগম অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, বিদ্যালয়ের পূর্বদিকে পরিত্যক্ত একটি দুই রুম বিশিষ্ট শৌচাগার ভেঙে ফেলার পর দুটি লোহার দরজা ও প্রায় ৯০০ কেজি রড শরীফা খাতুন কাউকে না জানিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। এসব মালামালের আনুমানিক মূল্য ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা হবে বলে দাবি করা হয়েছে। এছাড়া চাকরিতে যোগদানের পর থেকেই শরীফা খাতুন বিভিন্ন সময় স্কুলের মালামাল আত্মসাত করে আসছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগে আরও বলা হয়, শরীফা চাকরিতে যোগদানের সময় বয়স কম দেখিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। ১৯৮৭ সালে আয়া পদে নিয়োগের সময় তার বড় ছেলের বয়সের সঙ্গে মাত্র ১১ বছরের পার্থক্য রয়েছে। এসব বিষয়ে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান লিপি বেগম।

একজন শিক্ষক বলেন, “শরীফা খাতুন দরজা ও রড নিয়ে গেছেন আমি দেখেছি। তবে কীভাবে বা কার অনুমতিতে নিয়েছেন তা জানি না।”

সহকারী শিক্ষিকা জোনাকি বেগম বলেন, “শরীফা দরজা ও রড নিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু আমরা কেউ জানি না তিনি কার অনুমতিতে নিয়েছেন।”

অভিযুক্ত শরীফা খাতুন বলেন, “পুরোনো টয়লেট ভেঙে নতুন করার সময় আমি ৪০ হাজার টাকায় পুরোনো ইট কিনেছিলাম। তখন সেগুলো পরিষ্কার ও পরিবহনে অতিরিক্ত ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল। বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম, তারা টাকা দিতে চাইলেও আমি নেইনি। কয়েক মাস আগে স্টোর রুমে থাকা দুটি পুরোনো দরজা আর কিছু রড নিতে প্রধান শিক্ষিকার কাছে আবদার করি। তিনি আমার লোকসানের কথা বিবেচনা করে এগুলো আমাকে দিয়েছেন। আমার স্বামী প্রতিবন্ধী, আমি খুবই গরিব মানুষ। টাকা দিয়ে জিনিস কিনে এখন নানা অভিযোগ শুনতে হচ্ছে।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক ও এলাকাবাসী বলেন, “স্কুল প্রতিষ্ঠাতার ভাতিজি হওয়ায় লিপি বেগম প্রায়ই প্রভাব খাটান। তার আচরণে আমরা অতিষ্ঠ হলেও চাকরির কারণে নীরবে সহ্য করি।”

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফাহমিদা খাতুন বলেন, “শরীফা পূর্বে ৪০ হাজার টাকায় পুরোনো ইট কিনে নিয়ে পরিষ্কার ও পরিবহনে ৮ হাজার টাকা খরচ করেছিলেন। তিনি গরিব মানুষ হওয়ায় লোকসান পুষিয়ে নিতে কমিটির মতামতের ভিত্তিতে স্টোর রুমে থাকা দুটি দরজা ও কিছু রড তাকে দেওয়া হয়েছে। তিনি কোনো মালামাল চুরি করেননি।”

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন বলেন, “বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা শরীফা খাতুনের বিরুদ্ধে মালামাল চুরির লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের তদন্ত শেষে দোষ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

একুশে সংবাদ/এ.জে

Link copied!