নওগাঁর মান্দা উপজেলার হলুদঘর পশ্চিমপাড়া গ্রামে রাস্তার পাশ থেকে পাখি বেগম (৩০) নামে এক স্বামী পরিত্যক্তা নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ওই নারী দুই সন্তানের জননী।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয়রা রাস্তার পাশে মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে মান্দা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
পুলিশ জানায়, মরদেহের মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হলেও, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
নিহত পাখি বেগম মান্দা উপজেলার ভারশোঁ গ্রামের লবির উদ্দিনের মেয়ে। কয়েক বছর আগে তার প্রথম স্বামী মাসুদ রানার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়। এরপর তিনি জীবিকার প্রয়োজনে ঢাকায় গিয়ে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। সেখানে তার পরিচয় হয় মান্দার পরানপুর মৎস্যজীবীপাড়ার জিয়ারুল ইসলামের ছেলে তাইজুল ইসলামের সঙ্গে। পরে তারা বিয়ে করেন। তবে দুই সপ্তাহ আগে তাদের সম্পর্কেও বিচ্ছেদ ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে পাখি বেগমকে হলুদঘর গ্রামের মোড়ে কয়েকজন যুবকের সঙ্গে দেখা যায়। পরদিন সকালে তার মরদেহ রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী তাইজুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িঘরে তালা দিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, “সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।”
একুশে সংবাদ/এ.জে