সময় চলে যায়, মানুষও একদিন চলে যায়। কিন্তু কিছু মানুষ থেকে যান তাঁদের মহৎ কর্মে, স্বপ্নে আর রেখে যাওয়া উত্তরাধিকারে। তেমনই একজন মানুষ ছিলেন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষা অনুরাগী এম এ খালেক। আজ তাঁর ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী।
এম এ খালেক ছিলেন একজন স্বপ্নদ্রষ্টা, যিনি বিশ্বাস করতেন—অশিক্ষা দূর না হলে সমাজের অগ্রগতি সম্ভব নয়। তাই জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত তিনি উৎসর্গ করেছিলেন শিক্ষা বিস্তারে। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমে কাশিয়ানীতে গড়ে ওঠে এম এ খালেক ডিগ্রি কলেজ, এম এ খালেক সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, পোনা এম এ খালেক উচ্চ বিদ্যালয়সহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান আজও বহন করছে তাঁর অমর স্বপ্নের আলো।
শিক্ষার্থীদের অনেকে এখনো আবেগ নিয়ে বলেন— "আমরা আজ যে পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছি, তা এম এ খালেক স্যারের জন্যই সম্ভব হয়েছে। তিনি না থাকলে হয়তো আমাদের জীবন অন্ধকারেই রয়ে যেত।"
প্রতিবেশী ও এলাকাবাসীরাও তাঁকে মনে করেন আশ্রয়দাতা হিসেবে। অনেকেই স্মরণ করেন তাঁর দানশীলতা, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের নীরব সহায়তা এবং নিঃস্বার্থ সমাজসেবা।
প্রায় তিন দশক আগে তিনি চলে গেলেও আজও তাঁর প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিদিন নতুন প্রজন্মকে আলোকিত করছে। এম এ খালেক যেন আছেন প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে, প্রতিটি বইয়ের পাতায়, প্রতিটি শিক্ষার্থীর স্বপ্নে।
কাশিয়ানীর মানুষ আজ শ্রদ্ধাভরে তাঁকে স্মরণ করে বলছে— "মানুষের প্রকৃত মৃত্যু হয় না, যদি তাঁর কর্ম অমর হয়ে থাকে। এম এ খালেকের কর্মই তাঁকে আজও আমাদের মাঝে জীবিত রেখেছে।"
একুশে সংবাদ/এ.জে