লক্ষ্মীপুরের কমলগঞ্জে তানিয়া (২১) নামে এক গৃহবধূ তিন মাস আগে হত্যার পর লাশ গুমের অভিযোগে দায়ের করা মামলার পর হঠাৎ জীবিত হয়ে কবর থেকে বেরিয়ে এসেছেন। তিনি পায়ে হেঁটে আদালতে গিয়ে স্বামীকে তালাক দিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন। এ ঘটনায় রোমহর্ষক এক ঘটনা উন্মোচিত হয়েছে। ভুক্তভোগীরা জানান, একদিকে সত্য উন্মোচিত হয়েছে, অন্যদিকে অন্তত সাতটি প্রাণ মহাবিপদ থেকে বেঁচে গেছে।
এর আগে গৃহবধূর বোন রিনা আক্তার স্বামী, শ্বশুর ও দেবরসহ ওই পরিবারের সাতজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলার পর আসামিরা তিন মাস ধরে আত্মগোপনে ছিলেন। এই সময়ে পরিবারের সদস্যরা কষ্টে দিনাতিপাত করেছেন এবং গৃহবধূর সন্ধানে কয়েক লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর আদালতে উপস্থিত হয়ে তানিয়া তার স্বামীকে ডিভোর্স দেন। স্থানীয় চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নিজাম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগীরা জানান, তিন বছর আগে চরকাদিরা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ উল্লাহ বেপারীর ছেলে দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে হাজিরহাট ইউনিয়নের চর জাঙ্গালিয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে তানিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক কলহ চলছিল। চলতি বছরের ৯ জুন রাত আনুমানিক ১২টার দিকে তানিয়া নিখোঁজ হন।
গৃহবধূর শ্বশুর মোহাম্মদ উল্লাহ বেপারী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “স্থানীয় কিছু ব্যক্তির ইন্ধনে আমাদের পুত্রবধূ আত্মগোপনে চলে যান এবং আমাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ দিয়ে সীমাহীন হয়রানি করা হয়েছে। একপর্যায়ে দশ লাখ টাকা দাবি করা হয়। অথচ হঠাৎ করে আদালতে উপস্থিত হয়ে ডিভোর্স দিয়ে আমাদের পরিকল্পিতভাবে হয়রানি করা হয়েছে। আমরা ঘটনার পরিকল্পনাকারীর বিচার চাই।”
কিন্তু অভিযুক্ত গৃহবধূ অদৃশ্য থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। কমলগঞ্জ থানার ওসি তহিদুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি কেউ আমাকে জানায়নি। কেউ আইনি সহায়তা চাইলে তা প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।”
একুশে সংবাদ/ল.প্র/এ.জে