কৃষিপ্রধান মানিকগঞ্জে সোনালি আঁশের মৌসুমে গ্রামীণ জনপদ আবারও সরব। মাঠে এখন পাট কাটা, আঁশ ছাড়ানো ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত কৃষক পরিবার। তবে পানির স্বল্পতা এবং প্রত্যাশিত দাম না মেলায় চাষে আগ্রহ কিছুটা কমেছে।
চলতি মৌসুমে জেলার ৪ হাজার ২৭৬ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হলেও গত বছরের তুলনায় এটি সামান্য কম। কৃষি ও পাট কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর আবাদ হয়েছিল ৪ হাজার ২৯৬ হেক্টরে। এবছর ১৪ হাজার ২৭০ জন কৃষককে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে, যেখানে প্রতিজন কৃষককে ১ কেজি বীজ ও ১২ কেজি সার প্রদান করা হয়েছে।
জেলার সাতটি উপজেলায় কমবেশি পাট চাষ হয়। বর্ষাকাল শুরু হওয়ায় কৃষকরা বিভিন্ন এলাকায় পাট কেটে জাগ দিতে শুরু করেছেন। কোথাও কোথাও নতুন পাটও বাজারে উঠতে শুরু করেছে।
হরিরামপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ডেগিরচর গ্রামের মো. শাহজালাল বলেন, “এবছর ফলন ভালো হলেও পানির অভাবে জমি থেকে অনেক দূরে নিয়ে গিয়ে পাট জাগ দিতে হচ্ছে। এতে খরচ বেড়ে যাচ্ছে এবং আঁশের মানও নষ্ট হচ্ছে। গতবছর কম দাম ও নিম্নমানের আঁশের কারণে খরচ উঠাতে হিমশিম খেতে হয়েছিল।”
একই উপজেলার গালা ইউনিয়নের বিজয়নগর গ্রামের রঞ্জিত মন্ডল বলেন, “এখন পুরো পরিবার মিলেমিশে পাটের কাজে ব্যস্ত। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠ ও ঘাটে দিন কাটছে।”
মানিকগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক রবিআহ নূর আহমেদ জানান, “এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মানিকগঞ্জে কৃষি জমিতে প্রচুর পরিমাণ পাটের আবাদ হয়েছে। পাটের মৌসুম চলছে, এবং কৃষক ও তার পরিবার পাটের সাথে সংযুক্ত বিভিন্ন কাজ নিয়ে ব্যস্ত। ইতোমধ্যে বাজারে নতুন পাট উঠতে শুরু করেছে। গতবছরের তুলনায় এবছর পাটের দাম ভালো পাওয়া যাচ্ছে। আশা করি কৃষকরা তাদের উৎপাদন খরচ পুষিয়ে লাভবান হতে পারবেন।”
একুশে সংবাদ/মা.প্র/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

