পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার একটি সরকারি কমিউনিটি সেন্টার দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন ও অবহেলায় পড়ে ভুতুড়ে রূপ নিয়েছে। অর্ধশতাব্দী আগে নির্মিত এ ভবনটি বর্তমানে লতাগুল্মে আচ্ছাদিত, চারপাশে জলাবদ্ধতা জমে আছে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উত্তর পাশে মোল্লা বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা জরাজীর্ণ ভবনটির দেয়াল ঘেঁষে গাছপালা জন্মেছে এবং চারপাশে জলাবদ্ধতা রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভবনের পূর্ব ও উত্তর পাশের কিছু জমি আশপাশের বাসিন্দারা দখল করে নিয়েছেন।
স্থানীয় মতি মোল্লা জানান, ভবনটি প্রথমে কমিউনিটি সেন্টার হিসেবে, পরে রেজিস্ট্রি অফিস এবং সর্বশেষ পশু হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে এটি সম্পূর্ণ অব্যবহৃত।
খালেক মোল্লা বলেন, “তৎকালীন কেবিনেট সচিব এম. কেরামত আলীর উদ্যোগে কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণের জন্য জমির প্রয়োজন হয়। তখন স্থানীয় হাজী আবদুল মন্নান মোল্লা ও ইউনুস মোল্লা প্রায় ১২ শতক জমি সরকারি কাজে দলিল করে দেন।”
জমিদাতা হাজী আবদুল মন্নান মোল্লা বলেন, “আমরা চাই এই ভবন ও জমির সঠিক ব্যবহার হোক। উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণের জন্য এখানে ফায়ার সার্ভিস অফিস স্থাপন করা যেতে পারে।”
শ্রীরামপুর ইউনিয়নের সাবেক সদস্য হারুন মোল্লা বলেন, “ভবনটি অনেক দিন ধরে পরিত্যক্ত। যদি সংস্কার করে নতুন অফিস চালু করা যায়, তাহলে এলাকাবাসী উপকৃত হবে।”
শ্রীরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার আলী মৃধা জানান, “এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুজর মোঃ ইজাজুল হক বলেন, “বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
একুশে সংবাদ/প.প্র/এ.জে