জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ পরীক্ষার ফরম পূরণের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে শেরপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।
প্রায় এক ঘণ্টা স্থায়ী এই কর্মসূচি কলেজের প্রধান ফটকের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। পরে শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক শিব শংকর কারুয়া-এর নিকট একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা দাবি করেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অযৌক্তিক ফি বৃদ্ধি অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। তারা শিক্ষার্থী বান্ধব ফি নির্ধারণ, ইমপ্রুভমেন্ট ফি সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা, ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন ফি ১০০ টাকা, সার্টিফিকেট ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা নির্ধারণ এবং আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তার দাবি জানান।
এ সময় শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন– “অযৌক্তিক ফি বৃদ্ধি মানি না, মানবো না”, “ফি বৃদ্ধি প্রত্যাহার করো, করতে হবে”, “একশন একশন, ডাইরেক্ট একশন।”
তারা অভিযোগ করেন, গতবছর বিভিন্ন বিভাগের ফি ছিল ২২০০–২৩০০ টাকা, যা এ বছর বেড়ে ৩৩০০–৩৫০০ টাকা হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও অসচ্ছল পরিবারের সন্তান। হঠাৎ ফি বৃদ্ধির কারণে অনেকে ভোগান্তিতে পড়েছেন। শিক্ষার মান উন্নয়ন না করে ফি বৃদ্ধি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শাওন (রসায়ন), শহিদুল্লাহ (প্রাণিবিদ্যা), তৃশা (উদ্ভিদবিদ্যা), ফয়সাল (রসায়ন) ও নুরুল আমিন (ইসলামের ইতিহাস)। এছাড়া সিনিয়র শিক্ষার্থী রবিউল, রাব্বি এবং কলেজের অন্যান্য সিনিয়র ও জুনিয়র শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক শিব শংকর কারুয়া বলেন, “শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি গ্রহণ করা হয়েছে। তাদের দাবিগুলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেরণ করা হবে।”
একুশে সংবাদ/শে.প্র/এ.জে