বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, “আমাদের অনেক নেতাকর্মী গুমের শিকার, খুনের শিকার, রক্তাক্ত হয়েছে। আমরা কাউকে ছেড়ে যাইনি। সন্ত্রাস, অত্যাচার ও নির্যাতনের মধ্যেও বীরদর্পে চলেছি। হাসিনার বিরুদ্ধে এক দফার আন্দোলন করার জন্য বারবার জেলে গেছি। হামলা, মামলা, অত্যাচার ও নির্যাতন হয়েছে আমিসহ আমাদের সকল নেতাকর্মীর ওপর। যত প্রতিবাদ করেছি, তত গ্রেপ্তার হয়েছি। আমরা কখনোই হাসিনার কাছে মাথানত করি নি।”
তিনি আরও বলেন, “আমার বাড়িতে হামলা হয়েছে, নেতাকর্মীদের বাড়িতেও হামলা হয়েছে। তারপরও আমরা পালিয়ে যাইনি। অনেক এসপি, ডিসির রক্তচক্ষু দেখেছি। গডফাদার তাহের (প্রয়াত আ.লীগ নেতা) বাহিনী সাধারণ ব্যাপার ছিল। কিন্তু সবসময় বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এ জেলায় নেতৃত্ব দিয়েছি। মাথানত করে নেতৃত্ব দিই নি।
তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আমরা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করছি। তিনি সাধারণ মানুষের আস্থা এবং বিশ্বাস স্থাপন করেছেন। আমরা তার অপেক্ষায় রয়েছি; তিনি এ দেশে আসবেন। সুন্দর একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। সেই জনগণের সরকার বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দলের সরকার হবে।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া। জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুর রহমানের সঞ্চালনায় এবং পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, বিএনপির সহ শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের জেলা সভাপতি হাফিজুর রহমান, বাফুফের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপী, বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া প্রমুখ।
একুশে সংবাদ/ল.প্র/এ.জে