দিনাজপুরের রেলওয়ে জংশনখ্যাত ও খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ উপজেলা পার্বতীপুর। এই উপজেলার প্রায় ৪ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। তবে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালটি চিকিৎসক সংকটে ভুগছে। ফলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক (মেডিকেল অফিসার) বরাদ্দ রয়েছে ১৯ জন। কিন্তু কর্মরত আছেন মাত্র ৭ জন, তার মধ্যে ২ জন আবার ডেপুটেশনে অন্যত্র রয়েছেন। ফলে বর্তমানে ৫ জন চিকিৎসক দিয়ে বিশাল জনসংখ্যার চিকিৎসা সেবা চালাতে হচ্ছে। মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট বরাদ্দ আছে ১৫ জন, সেখানে কর্মরত আছেন ৭ জন। এছাড়া তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরও সংকট রয়েছে।
৫০ শয্যার এই হাসপাতালে ইনডোর ছাড়াও আউটডোরে প্রতিদিনই (ছুটির দিন ছাড়া) ৩০০ থেকে ৪০০ রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। পাশাপাশি জরুরি বিভাগও সবসময় সচল রাখতে হয়। এর বাইরে একজন চিকিৎসককে আরএমও-এর দায়িত্ব পালন করতে হয় এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। সব মিলিয়ে চিকিৎসক সংকট চরমে পৌঁছেছে।
যোগাযোগ করা হলে পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শরিফুল রেজওয়ান চিকিৎসক সংকটের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “শুধু এখানেই নয়, দেশের অন্যান্য স্থানেও একই অবস্থা। তারপরও আমরা স্বল্প সংখ্যক চিকিৎসক দিয়েই এলাকার মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সচেষ্ট রয়েছি।”
একুশে সংবাদ/দি.প্র/এ.জে