ময়মনসিংহের ভালুকায় ছাত্রদল নেতা রাফি উল্যাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ‘বিউটিফুল ভালুকা’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে তার নাম জড়িয়ে হামলা, ভাঙচুর ও মারধরের মতো অভিযোগে একাধিক পোস্ট দেওয়া হয়। তবে ভুক্তভোগীসহ স্থানীয়রা এসব অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন।
রাফি উল্যাহ চৌধুরী জানান, দুই মাস আগে স্থানীয় ব্যবসায়ী জাহিদুলের সঙ্গে আরেক পক্ষের একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিল। তিনি নিজেই বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন। জাহিদুল তাকে স্পষ্ট জানায়, সে কোনোভাবেই রাফিকে দায়ী করছে না এবং তিনি কোনো হুমকিও দেননি। অথচ ওই ঘটনার পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক পোস্ট দেওয়া হচ্ছে। “এমনকি পোস্ট দেওয়ার পরও জাহিদুল আমার সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে কথা বলেছে,” বলেন রাফি।
অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দু ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলামও একই বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, “যে দোকানের ভিডিও ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়েছে সেটি আমার। দুই মাস আগে রাফি উল্যাহ চৌধুরী আমার পক্ষে সমাধানের জন্য এগিয়ে এসেছিলেন। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
এদিকে ‘বিউটিফুল ভালুকা’ পেজে দেওয়া আরেকটি পোস্টে দাবি করা হয়, রাফির অফিসে এক যুবককে মারধর করা হয়েছে। তবে সেই ঘটনায় থানায় করা জিডিতে তার নাম কোথাও নেই বলে নিশ্চিত করেছেন রাফি উল্যাহ চৌধুরী ও সংশ্লিষ্টরা।
ভালুকা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাহিদ আল হাসান মৃদুল বলেন, “বিউটিফুল ভালুকা পেজের এডমিন স্বৈরাচারের দোসর হয়ে পরিকল্পিতভাবে রাফি উল্যাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, সচেতনভাবে একজন সৎ ও নীতিবান মানুষকে হেয় করার চেষ্টা চলছে। ভালুকার একাধিক বাসিন্দা বলেন, “রাফি উল্যাহ চৌধুরী মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন, কিন্তু তা অনেকের সহ্য হচ্ছে না। এজন্য তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। অথচ তিনি সবসময় সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে থেকেছেন, কখনো কারও ক্ষতি করেননি।”
ভালুকাবাসীর দাবি, এ ধরনের মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার কেবল রাফি উল্যাহ চৌধুরীর ব্যক্তিগত সম্মানহানিই করছে না, বরং পুরো ভালুকার ভাবমূর্তিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে এবং একটি সুস্থ রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশ অস্থিতিশীল হয়ে পড়ছে।
তারা জোর দিয়ে বলেন, “এ ধরনের অপপ্রচার অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। ‘বিউটিফুল ভালুকা’ ফেসবুক পেজের এডমিনদের খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করে দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।”
একুশে সংবাদ/ম.প্র/এ.জে