শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলায় পাহাড় ও টিলা রক্ষায় ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এ উদ্দেশ্যে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ও বাজার এলাকায় প্রচারপত্র বিতরণ, মাইকিং এবং সচেতনতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাহাড় ও টিলা দেশের অমূল্য প্রাকৃতিক সম্পদ। নির্বিচারে পাহাড় কাটা হলে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি তৈরি হয়। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ অনুযায়ী পাহাড় বা টিলা কর্তন দণ্ডনীয় অপরাধ। আইন ভঙ্গ করলে জরিমানা ও কারাদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।
প্রচারণার মূল শ্লোগান হচ্ছে, “পাহাড় ধ্বংস নয়, পাহাড় রক্ষা চাই।” এছাড়া বলা হয়েছে, “পাহাড়/টিলা কাটা বন্ধ করি, পরিবেশ রক্ষা করি, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচাই।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, “পাহাড় ও টিলা দেশের অমূল্য প্রাকৃতিক সম্পদ। নির্বিচারে পাহাড় কাটা হলে ভূমিধস, বন্যা, মাটি ধস ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হয়, যা ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি তৈরি করে। তাই সবাইকে পাহাড় রক্ষায় সচেতন হতে হবে। পাহাড় কাটা শুধু পরিবেশের ক্ষতি নয়, এটি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”
এদিকে, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বার্ড কনজারভেশন সোসাইটি ঝিনাইগাতী উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন সুবর্ণ এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “প্রশাসনের এই উদ্যোগ অত্যন্ত সময়োপযোগী। তবে শুধু আইন প্রয়োগ করলেই হবে না; জনগণকে সচেতন ও সম্পৃক্ত করতে হবে। মানুষকে বোঝাতে হবে, প্রকৃতিকে ধ্বংস করলে আমাদের অস্তিত্বও হুমকির মুখে পড়বে। তাই বলছি, প্রকৃতিকে ধ্বংস নয়, প্রকৃতিকে ভালোবাসলেই টিকে থাকবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।”
একুশে সংবাদ/শে.প্র/এ.জে