AB Bank
  • ঢাকা
  • রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

রায়গঞ্জে টায়ার পুড়িয়ে জ্বালানি তেল উৎপাদন , হুমকির মুখে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য



রায়গঞ্জে টায়ার পুড়িয়ে জ্বালানি তেল উৎপাদন , হুমকির মুখে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে টায়ার পুড়িয়ে তৈরি করা হচ্ছে জ্বালানি তেল ও কালি। আবাদি জমিতে গড়ে ওঠা এ কারখানার কালো ধোঁয়া আর দুর্গন্ধে হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য।

উপজেলার ধামাইনগর ইউনিয়নের বাকাই এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করা পুরনো যানবাহনের টায়ার পুড়িয়ে তৈরি হচ্ছে জ্বালানি তেল। কিন্তু এর বিষাক্ত ধোঁয়ায় বিপর্যস্ত হচ্ছে এলাকার পরিবেশ। বাতাসের সঙ্গে মিশে এ ধোঁয়া ও কালি পড়ছে গাছে-গাছে। এতে পুকুরের পানি দূষিত হয়ে মারা যাচ্ছে মাছ। নষ্ট হচ্ছে নানা প্রজাতির গাছের ফুল ও ফল।

স্থানীয়রা জানান, এ কারখানায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করা বাস, ট্রাক, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনের পুরনো টায়ার আগুনে গলিয়ে তৈরি করা হয় জ্বালানি তেল ও কালি। পাশাপাশি পোড়ানো টায়ারের ভেতর থেকে বের করা হয় লোহা তৈরির কাঁচামালও।

তাদের অভিযোগ, কারখানার বিষাক্ত ধোঁয়া ও কালি বাতাসের সঙ্গে মিশে ছড়িয়ে পড়ছে ধানের পাতায়, গাছ ও পুকুরে। এতে পুকুরের পানি দূষিত হয়ে মারা যাচ্ছে মাছ। গাছের ফুল-ফল নষ্ট হয়ে ঝরে পড়ছে। এ ছাড়া স্থানীয়দের মধ্যে দেখা দিচ্ছে শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগ। দ্রুত প্রশাসনের কাছে কারখানাটি বন্ধের দাবি জানান তারা।

স্থানীয় কৃষক সোবহান আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “রাস্তার অবস্থাও ভয়াবহ, মানুষ ঠিকমতো চলাচল করতে পারে না। পুকুরে ডিম দিয়েছিলাম রেণু করার জন্য, সব মরে গেছে। এর আগে এলাকাবাসীর কঠোর ভূমিকায় কারখানাটি বন্ধ ছিল। কিছুদিন পর আবার চালু হয়েছে।”

আরেক কৃষক সুরেশ চন্দ্র মাহাতো বলেন, “মাঠে কাজ করতে গেলেই দুর্গন্ধে মনে হয় বমি হয়ে যাবে। বিষাক্ত বর্জ্যের কারণে শ্রমিকরা মাঠে কাজ করতে চায় না। বাধ্য হয়ে জমি কম দামে বর্গা দিতে হচ্ছে। পানিতে নামলে চর্মরোগ হচ্ছে, ধানের ফলনও ভালো হচ্ছে না।”

কোম্পানির ম্যানেজার স্বপন শেখ বলেন, “পুরনো টায়ার পুড়িয়ে ফার্নেস অয়েল ও কালি তৈরি করা হয়, যা বিভিন্ন ফায়ারিং কাজে ব্যবহৃত হয়। কালি ইটভাটায় বিক্রি করি। অনুমোদন সংক্রান্ত কাগজপত্রের বিষয়ে স্যারের সঙ্গে কথা বলতে হবে।”

রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ূন কবির বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. তুহিন আলম জানান, “এ ধরনের কোনো কোম্পানিকে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। তবে অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

 

একুশে সংবাদ/সি.প্র/এ.জে

Link copied!