নরসিংদীর পলাশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির নির্বাচনী প্রচারণায় যুবদল নেতার নেতৃত্বে হামলা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এতে অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা একটি ডেকোরেটরের দোকান ভাঙচুর করায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। গুলিবর্ষণের ২১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকালে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের আমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, গজারিয়া ইউনিয়ন যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে আমতলা বাজারে নির্বাচনী প্রচারণার একটি কর্মসূচি চলছিল। এসময় উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হুমায়ুনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালায় এবং এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। এতে পনির হোসেনসহ তিনজন আহত হন। তারা বর্তমানে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
তবে যুবদল নেতা হুমায়ুন মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রয়েছি। এ ঘটনায় আমি কোনোভাবেই জড়িত নই। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।”
উপজেলা যুবদল নেতা মো. নাসির আহমেদ বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ড. আব্দুল মঈন খানের নির্দেশনায় ও পলাশ থানা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়ার পরিচালনায় মিছিল বের করি। তখন সোলাইমান হোসেন ও হাসিবুর রহমান রুবেল গুলিবর্ষণ শুরু করে। পরে বাবু, নূর মোহাম্মদ, মিলন সরকারসহ ৩০-৪০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দোকানপাট ভাঙচুর করে।”
গজারিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ রানার অভিযোগ, “হাসিবুর রহমান রুবেল, সোলাইমান, আসলাম হোসেন বাবু, মিলন ও শাহীনসহ অনেকে মুখোশ ও হেলমেট পরে হামলায় অংশ নেয়। তারা দোকান ভাঙচুর ও গুলিবর্ষণ করে শান্তিপূর্ণ মিছিল ভেঙে দেয়।”
এ বিষয়ে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, “ঘটনার ব্যাপারে এখনো থানায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
একুশে সংবাদ/ন.প্র/এ.জে