চট্টগ্রামে নিত্যপণ্যের বাজার আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে। শুধু নিত্যপণ্য নয়, বেড়েছে ভোগ্যপণ্যের দামও। পাইকারি ভোগ্যপণ্যের বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। খুচরা বাজারে তা পৌঁছেছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। অথচ দুই সপ্তাহ আগেও পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০ টাকার নিচে।
চাল, ডাল, আটা, ডিম, মুরগি, মাছ ও সবজির দাম এক মাসে সর্বোচ্চ ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। সবজির বাজারে ৮০ টাকার নিচে কোনো সবজি মিলছে না। কাঁকরোল, ঝিঙা, ঢ্যাঁড়শ, করলা কেজিপ্রতি ৯০ থেকে ১০০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা, বেগুন ৮০-১০০ টাকা ও টমেটো ১৫০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গাজর ১৬০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ১২০ টাকা এবং কাঁচা কলার হালি ৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তবে আলুর দাম কিছুটা কম, কেজি ২৫ টাকা।
এছাড়া মাছের দামও চড়া। এক-দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ২০০০-২৪০০ টাকা, আর বড় ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকায়। অন্যান্য মাছের মধ্যে পোয়া ৪০০-৫০০, কোরাল ৬০০-৯০০, রূপচান্দা ৩৫০-৭০০ ও চিংড়ি ৬৫০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজারেও অস্থিরতা বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি মোটা চাল ৫৮-৬০ টাকা, সরু চাল ৮৮-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ধানের দাম বৃদ্ধি, পরিবহণ সংকট, সরবরাহ ব্যাঘাত এবং মজুত কমে যাওয়াকে কারণ দেখিয়ে মিল মালিকরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
ভোগ্যপণ্যের বাজারে এমন অস্থিরতায় দিশেহারা সাধারণ ক্রেতারা। বিশেষ করে নিম্ন ও নির্দিষ্ট আয়ের পরিবারগুলো মারাত্মক আর্থিক চাপে পড়েছে। অনেকে প্রয়োজনীয় কিছু পণ্য কিনে বাকিগুলো না নিয়েই বাজার থেকে ফিরে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে, জেলা প্রশাসন বলছে, নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে টাস্কফোর্স কমিটি বাজার মনিটরিং জোরদার করেছে। পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে ভোক্তারা মনে করছেন, কার্যকর নজরদারির অভাবেই সিন্ডিকেট কারসাজি করে বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলছে।
একুশে সংবাদ/চ.প্র/এ.জে