AB Bank
  • ঢাকা
  • শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী
ফখরউদ্দিন আহমেদ বাচ্চু:

ভালুকার রাজনীতিতে আন্দোলন, আস্থা ও পরিবর্তনের প্রতীক



ভালুকার রাজনীতিতে আন্দোলন, আস্থা ও পরিবর্তনের প্রতীক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংসদীয় আসন ১৫৫, ময়মনসিংহ-১১, ভালুকা আসন ঘিরে জমে উঠেছে নির্বাচনী হাওয়া। ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে এই নির্বাচন হতে যাচ্ছে। প্রায় ১৬ বছর পর ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ ফিরে পেয়ে সাধারণ মানুষ নির্বাচনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

ভালুকা উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৯৯৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৬৭ হাজার ৩০৭, নারী ১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৮৮ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ২ জন।

ভালুকা আসনের রাজনৈতিক ইতিহাস বৈচিত্র্যময় ১৯৭৯ সাল থেকে এ আসনে দুবার মুসলিম লীগ, একবার জাতীয় পার্টি এবং দুবার বিএনপি প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন ভালুকা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক (বহিষ্কৃত) জননেতা ফখরউদ্দিন আহমেদ বাচ্চু।

চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সংগ্রামী নেতৃত্ব দিয়ে যিনি তৃণমূলের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি জননেতা ফখরউদ্দিন আহমেদ বাচ্চু। রাজনীতির রুক্ষ বাস্তবতায় যিনি কখনো পিছু হটেননি, বরং সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন, তিনিই আজও ভালুকার রাজনীতির আস্থার অপর নাম।

দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রায় তিনি সংগঠক, পথপ্রদর্শক এবং নির্যাতিত নেতাকর্মীদের পাশে থাকা এক নির্ভরযোগ্য আশ্রয়। এরশাদবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বছরের পর বছর ধরে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে রুখে দাঁড়িয়েছেন, সম্মুখ সারিতে দাঁড়িয়ে আওয়ামীলীগকে মোকাবেলা করেছেন বীরদর্পে। আর এসব করতে গিয়ে গুলি খেয়েছেন, ৪৪টি রাজনৈতিক মামলার আসামী হয়ে বারবার গ্রেপ্তার হয়েছেন, জেল খেটেছেন ফেরারি জীবন যাপন করেছেন।

সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিয়ে আহত হওয়া ফখরউদ্দিন আহমেদ বাচ্চু আজও তৃণমূল বিএনপির কাছে আন্দোলনের রোল মডেল। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত এই নেতা আজও রাজনীতির মাঠে সক্রিয়, যদিও বর্তমানে কোনো দলীয় পদে নেই। তবুও জনপ্রিয়তায় এতটুকু ভাটা পড়েনি, বরং আরও বেড়েছে।

দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, ভালুকা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক। ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবেও মনোনীত হয়েছেন একাধিকবার।

বর্তমানে মিথ্যা অনলাইন নিউজের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের কারণে দলীয় কোন পদে নেই কিন্তু বিএনপির নিবেদিত প্রাণ এই জননেতা তবুও তার জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি একটুওউ বরং হুহু করে তা বেড়েই চলেছে। দলীয় সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নিয়ে আমৃত্যু দলের একজন কর্মী/ সমর্থক হয়ে থাকার দৃড় প্রত্যয় নিয়ে মিডিয়ার মাধ্যমে সেই ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ভালুকার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চলে বিএনপির একজন পরিচ্ছন্ন ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করার প্রয়োজনীয়তা এখন সময়ের দাবি। আর সেই বিবেচনায়, তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ফখরউদ্দিন আহমেদ বাচ্চু।

ফখরউদ্দিন আহম্মদ বাচ্চু বলেন, তার উপর থেকে সকল অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়ে তাকেই মনোনয়ন দিবেন বলে তিনি আশাবাদি। ইতোমধ্যে তিনি হাই কমান্ড থেকে ওই রকমই আশ্বাস পেয়েছেন। তাই তার অবস্থান থেকে উপজেলার সর্বত্রই সভা সমাবেশ করে চলেছেন।

শুধু রাজনীতি নয় ভালুকার কিশোর ও যুবসমাজকে সন্ত্রাস, অপসংস্কৃতি ও মাদকের ভয়াল থাবা থেকে দূরে রাখতে নিজস্ব অর্থায়ন ও উদ্যোগে ফখরউদ্দিন আহমেদ বাচ্চু আয়োজন করেছেন ‘আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে’। উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১২টি দলসহ ৫টি মহিলা ফুটবল দল এই টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে।

গত ১০ জুন টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের সাবেক মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সামসুল আলম খান (অবঃ) এবং টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সাবেক অধিনায়ক ও জাতীয় ফুটবলার কায়সার হামিদ।

ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে ১৪টি খেলা সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি খেলায় হাজারো দর্শকের উপচে পড়া ভিড় প্রমাণ করে এই টুর্নামেন্ট ভালুকার সামাজিক চেতনা এবং বিএনপির প্রতি জনগণের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে ভূমিকা রাখছে। উপজেলার ৩০টি মাঠ সংস্কার ও টুর্নামেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে যুবসমাজকে খেলার মাঠে ফেরানোর এই উদ্যোগ নিয়েছেন ভালুকা উপজেলা বিএনপির ত্যাগী এই নেতা এমনটাই জানালেন টুর্নামেন্ট সংশ্লিষ্টরা।

গত ৭ ফেব্রুয়ারী উপজেলার বিরুনিয়া ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক এক কৃষক সমাবেশে দলীয় সিদ্ধান্তকে সম্মান দেখিয়ে জনতার কাতারেই বসেছিলেন পুরোটা সময়, সমাবেশটি সফল করে দেয়ার জন্য কাজ করেছেন নিরবেই, ফলশ্রুতিতে কৃষকদলের সমাবেশটি রূপ নিয়েছিল ঐতিহাসিক মহাসমাবেশে।

ভাওয়ালিয়াবাজু উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ সেদিন এক আবেগঘন মুহুর্তের স্বাক্ষী হয়েছে, উনার জনপ্রিয়তার নিরব স্বাক্ষী হয়েছেন সেই সমাবেশে উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। হাজার হাজার নেতাকর্মীর কন্ঠে বাচ্চু ভাই বাচ্চু ভাই স্লোগানে মুখরিত সেই সমাবেশে উনাকে মঞ্চে না পেয়ে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি অনেকেই, নিরবে অনেকের চোখ ভিজেছে, কয়েকজন নেতাকর্মীর বুকফাঁটা আর্তনাদের ভিডিও এখনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল।

জনপ্রিয়তায় বরাবরই এগিয়ে থাকা ফখরউদ্দিন আহমেদ বাচ্চুর অবর্তমানে ভালুকায় রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি হয়েছে, যার সুযোগে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে, দলের ভেতর ঢুকে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মাঝে বিভাজন তৈরি করে দলকে দুর্বল করে দেয়ার অপচেষ্টাও করছে তারা।

এই জননেতা এমন একজন মানুষ, যিনি কারও ফোন মিস হলেও পরে ফোন করে খোঁজ নেন। কারাগারে থাকা নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানো, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তা, অসুস্থদের চিকিৎসায় সহযোগিতা সবই করেছেন নিরবে, নিঃস্বার্থভাবে। এজন্য ভালুকার জনগণ তার নেতৃত্বকেই পরিবর্তনের আশ্বাস হিসেবে দেখছে।

আর এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠেছে একটাই দাবি "বাচ্চু ভাইকে এমপি হিসেবে দেখতে চাই।"

ফেসবুকজুড়ে সাধারণ মানুষ, কর্মী-সমর্থক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক সচেতন জনগণ সবাই বলছেন, সময় এসেছে ত্যাগী, নির্ভীক এবং আস্থাভাজন নেতার হাতেই ভালুকার নেতৃত্ব তুলে দেওয়ার।

 

একুশে সংবাদ/ম.প্র/এ.জে

Link copied!