বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে ডিম বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। পাইকারি বিক্রেতাদের দাবি—তারা আড়ত থেকে যেমন দামে কিনছেন, বাজারে তেমনই বিক্রি করছেন। তবে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাছ ও মাংসের পর ডিম দীর্ঘদিন ধরে মানুষের আমিষের চাহিদার বড় অংশ পূরণ করে আসছে। এর মধ্যে মাছ ও মাংসের দাম আগেই বেড়েছে, এবার বেড়েছে ডিমের দামও। সরকারের নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী উৎপাদন পর্যায়ে ডিমের দাম প্রতি পিস ১০ টাকা ৫৮ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ১০ পয়সা থাকার কথা। কিন্তু বর্তমানে পাইকারি পর্যায়ে তা ১১ টাকা ৩৩ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ১২–১৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, এক মাস আগেও ৩০টি ডিমের দাম ছিল ২৫০ টাকা, যা এখন বেড়ে ৩৪০ টাকায় পৌঁছেছে—প্রতি ডিমে প্রায় ২ টাকা বেশি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বাজার মনিটরিং না থাকা এবং ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণেই এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তারা দ্রুত বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে ডিমসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছেন।
কোটচাঁদপুরে চারজন পাইকারি ডিম বিক্রেতা রয়েছেন। এর মধ্যে কামাল হোসেন, রেজাউল ইসলাম ও মাহবুর রহমান কোটচাঁদপুর বাজারে এবং ফারুক হোসেন চৌগাছা স্ট্যান্ডে ডিম বিক্রি করেন। উপজেলায় প্রায় ১ লাখ ৪২ হাজার মানুষের বছরে ডিমের চাহিদা প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ, মাসে ৪ লাখ ৯২ হাজার এবং দৈনিক গড়ে ৪০ হাজার।
পাইকারি বিক্রেতা মাহবুর রহমান বলেন, “আমরা আড়ৎ থেকে যেমন দামে কিনি, তেমন দামে বিক্রি করি। কাঁচা মালপত্রের বাজারে নির্দিষ্ট রেট থাকে না।” কামাল হোসেন জানান, “সব পণ্যের দাম বেড়েছে, তাই ডিমের দামও বেড়েছে। দাম কমলে ডিমের দামও কমে যাবে।”
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, “অতি বৃষ্টির কারণে সবজিসহ অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়ায় ডিমের চাহিদা বেড়েছে। তবে কেউ সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি নিলে ইউএনও-র সহযোগিতায় বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
একুশে সংবাদ/ঝি.প্র/এ.জে