ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা পরিষদ মার্কেট চত্বরে ১৩ আগস্ট বিকেল ৩টায় বিএনপি ও যুবদলের পাল্টাপাল্টি সমাবেশের পরিকল্পনার কারণে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা মোতাবেক কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহুল চন্দ ১২ আগস্ট রাত ১০টা থেকে ১৩ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ মার্কেট চত্বর ও সংলগ্ন এলাকায় সকল প্রকার সমাবেশ, মিছিল, মিটিং, লাঠিসহ অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। এছাড়া মাইক ও শব্দবর্ধক যন্ত্র ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে, ৭ আগস্ট ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজাপুর উপজেলা শাখা থেকে সমাবেশের জন্য আবেদন করা হয়। ১১ আগস্ট বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল থেকেও একই স্থানে একই সময়ে সমাবেশের অনুমতি চাওয়া হয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত উভয় পক্ষ মঞ্চ তৈরির প্রস্তুতি নেয়। তবে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন বারবার আলোচনা চালিয়ে সমাধানের চেষ্টা করেও কোনো লাভ হয়নি। পরবর্তীতে সহিংসতা এড়াতে রাতে ১৪৪ ধারা জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহুল চন্দ বলেন, “জননিরাপত্তা বজায় রাখতে এই পদক্ষেপ জরুরি ছিল। সংশ্লিষ্ট সবাইকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে অনুরোধ করছি।”
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, পাল্টাপাল্টি সমাবেশের কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটতে পারে বলে ১৪৪ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউএনও পত্র দাখিল করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহুল চন্দের ১৪৪ ধারার আদেশ অনুযায়ী, মার্কেট চত্বরে সকল প্রকার সমাবেশের উদ্দেশ্যে প্রবেশ নিষিদ্ধ, ২০০ মিটার ব্যাসার্ধের বাইরে পাঁচ বা ততোধিক লোকের একত্রে চলাচল ও লাঠিসহ অস্ত্র বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী ছাড়া কেউ আদেশ অমান্য করতে পারবে না।
একুশে সংবাদ/ঝা.প্র/এ.জে