আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে গোপালগঞ্জ-১ (মুকসুদপুর ও আংশিক কাশিয়ানী) আসনে জমে উঠেছে রাজনৈতিক মাঠ। একাধিক দল ও প্রার্থী নির্বাচনী সমীকরণে ব্যস্ত থাকলেও আলোচনায় উঠে এসেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম। তিনি শুধু রাজনীতিবিদ হিসেবেই নয়, বরং তৃণমূলের মানুষের কাছে একজন মানবিক নেতা ও নিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবক হিসেবে পরিচিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হল ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে রাজনীতির পথচলা শুরু করেন সেলিমুজ্জামান। এরপর তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য এবং যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতির দায়িত্ব সামলান। বর্তমানে তিনি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক।
সেলিমুজ্জামানের সবচেয়ে বড় শক্তি তৃণমূলের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সামাজিক সংকট কিংবা ব্যক্তিগত বিপদ—সব সময় তিনি মানুষের পাশে থেকেছেন। তার মানবিক কর্মকাণ্ড, অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও সাংগঠনিক দক্ষতা তাকে তৃণমূলে ব্যাপক জনপ্রিয় করেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত কয়েক দশকে গোপালগঞ্জ-১ আসনে দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি। এ বিষয়ে সেলিমুজ্জামান বলেন, "স্বাধীনতার পর থেকে গোপালগঞ্জ-১ আসনের মানুষ অবহেলিত। যারা অতীতে এমপি হয়েছেন, তারা নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছেন, জনগণের নয়।"
শৈশব থেকেই রাজনীতির প্রতি ভালোবাসা তার জীবনের বড় প্রেরণা। তার ভাষায়, "জীবনের সবটুকু সময় দলের জন্য, মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছি। আমার নেতা তারেক রহমান দেশের জন্য আমাকে যেভাবে ব্যবহার করবেন, আমি সেভাবেই নিজেকে উৎসর্গ করব।"
তিনি এলাকায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। মনোনয়ন প্রসঙ্গে বলেন, "মনোনয়ন যিনিই পান না কেন, আমরা সবাই ধানের শীষের বিজয়ের জন্য মাঠে আছি।"
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা, অভিজ্ঞতা ও সক্রিয় রাজনৈতিক অংশগ্রহণের কারণে সেলিমুজ্জামান সেলিম গোপালগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির সম্ভাবনাময় ও গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী হিসেবে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করেছেন।
একুশে সংবাদ/গো.প্র/এ.জে