চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলায় টানা ৪০ দিন ২০০ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে জামাতের সঙ্গে আদায় করে বাইসাইকেল উপহার পেয়েছে ৩২ শিশু-কিশোর।
শনিবার (২ আগস্ট) বিকালে উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের রামদাসেরবাগ গ্রামের মানের বাড়ি জামে মসজিদ কমিটির উদ্যোগে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
আয়োজক কমিটির সভাপতি আবু জাফর খাঁন জানান, শিশু-কিশোরদের মসজিদমুখী করতে ১০ থেকে ২০ বছর বয়সীদের মধ্যে ৪০ দিন জামাতে নামাজ পড়ার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রথম দিকে ৫৯ জন শিশু-কিশোর নামাজ আদায় শুরু করে। চূড়ান্ত পর্বে ৩২ প্রতিযোগী বিজয়ী হয়।
তিনি বলেন, ১০ প্রতিযোগী ৪০ দিনে মাত্র ১ ওয়াক্ত নামাজে অনুপস্থিত ছিল, তাদের জন্য অন্য উপহারের ব্যবস্থা করেছি। এ ধরনের আরও ধর্মীয় প্রতিযোগিতা ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখা হবে।
আয়োজক কমিটির সদস্যরা জানান, গ্রামের শিশুরা যাতে মসজিদমুখী হয়, নামাজের গুরুত্ব বোঝে এবং আল্লাহর হুকুম-আহকামসহ সমাজের পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠা করতে পারে সেজন্য এ আয়োজন।
প্রতিযোগিতায় শর্ত ছিল- স্থানীয় শিশু-কিশোরদের ওই মসজিদে জামাতের সঙ্গে টানা ৪১ দিন ধারাবাহিকভাবে নামাজ আদায় করতে হবে। প্রতি ওয়াক্তে ইমাম তাদের হাজিরা গণনা করবেন।
পুরস্কারপ্রাপ্ত মো. ফাহাদ খাঁন ও সাজেদুল ইসলাম জানান, ৪০ দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে এখন মসজিদ ছাড়া নামাজ পড়তে ভালো লাগে না। শুরুতে পুরস্কারের আশায় নামাজে এলেও এখন মন থেকে মসজিদে এসে নামাজ পড়তে ইচ্ছে করে।
মসজিদের খতিব মাওলানা মো. আরিফ হোছাইন ছালেহী ও পেশ ইমাম মো. ইমাম হোসাইন বলেন, এ প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে মসজিদে ভরপুর মুসল্লির উপস্থিতি ছিল, প্রতিযোগীদের সঙ্গে তাদের অভিভাবকও নামাজ পড়তে আসতেন। বিজয়ী ৩২ শিশুর মতো সমাজের আরও শিশুদেরকে প্রকৃত নামাজি ও চরিত্র গঠনের জন্য ভবিষ্যতে আরও উদ্যোগ নেওয়া হবে।
স্থানীয় রামদাশেরবাগ আলিম মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক নজরুল ইসলাম মিন্টু ও ব্যবসায়ী মো. আনোয়ার হোসেন বাবলু শেখের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা নিউ সুপার মাকেট কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ঢাকা নিউ সুপার জামে মসজিদের সভাপতি হাজি সিরাজুল ইসলাম, ফরিদগঞ্জ বাজারের তুলাতলী জামে মসজিদের খতিব মুফতি আনোয়ার হোসেন আমিনী, পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবির কাজী, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোক্তার আহম্মদ খন্দকার, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মো. সেলিম খাঁন প্রমুখ।
একুশে সংবাদ/চাঁ.প্র/এ.জে