দশমিনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা চেয়ারম্যান পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস পথিমধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই বাসচালক নিহত হন এবং অন্তত ১৫ জন যাত্রী আহত হন।
সোমবার (২৮ জুলাই) রাত ১০টার দিকে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার দিকনগর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিশ্ববন্ধী এলাকার লিটু চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত চালকের নাম মো. রফিক (৪৩)। তার পিতার নাম মানিক শিকদার, বাড়ি পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার বেতাগী গ্রামে।
আহতরা হলেন—
১. আল আমিন (২১), পিতা: জামাল খলিফা, গ্রাম: পূর্ব আলীপুর, দশমিনা
২. আসাদুল দফাদার (৫০), পিতা: মৃত আঃ রশিদ দফাদার, গ্রাম: আলীপুর, দশমিনা
৩. আল আমিন আকবর, পিতা: হাজী আঃ রশিদ মোল্লা, গ্রাম: আলীপুরা, দশমিনা
৪. মো. লিমন, পিতা: জাফর, গ্রাম: কাছিপাড়া, বাউফল
৫. মো. বশির, পিতা: আমির উদ্দিন, গ্রাম: কাছিপাড়া, বাউফল
৬. মো. কাইয়ুম, পিতা: ইউনুছ গাজী, গ্রাম: কারখানা, বাউফল
৭. মাহাদি হাসান (২৬), পিতা: হারুন অর রশিদ, গ্রাম: কালিশুরী, বাউফল
৮. ফিরোজ হাওলাদার (৫০), পিতা: চাঁন মিয়া হাওলাদার, গ্রাম: কারখানা, বাউফল
৯. মো. রুবেল (৩০), পিতা: আনোয়ার শিকদার, গ্রাম: বগা, বাউফল
১০. সাইদুল রহমান (৪২), পিতা: মফিজ উদ্দিন, গ্রাম: আমিরপুর, রনিলমনিগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা সদর
১১. আঃ রব (৩৫), পিতা: মৃত শফিজউদ্দিন, গ্রাম: ডহুরি, মুন্সিগঞ্জ
১২. মো. শফিকুল শেখ (২৫), পিতা: মো. সালেক শেখ, গ্রাম: বিনোদপুর, মুন্সিগঞ্জ
১৩. মো. আল আমিন, পিতা: আঃ মজিদ মোল্লা (ঠিকানা অজ্ঞাত)
এছাড়াও আহতদের মধ্যে আরও ৩ জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী অন্য একটি বাসের যাত্রীদের ভাষ্যমতে, চেয়ারম্যান পরিবহনের বাসটি দশমিনা-বাউফল রুট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। পথে হানিফ পরিবহনের একটি বাস পাশ কাটাতে গিয়ে চাপ দিলে চেয়ারম্যান পরিবহনের বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই চালক নিহত হন এবং অন্তত ১৫ জন যাত্রী আহত হন।
উল্লেখ্য, দশমিনা-ঢাকা সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী চেয়ারম্যান পরিবহন দীর্ঘদিন ধরে বেপরোয়া গতিতে চালনার জন্য অভিযুক্ত। বাসটি অতীতেও একাধিক দুর্ঘটনায় জড়িয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের।
একুশে সংবাদ/প.প্র/এ.জে