ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ও মেদুয়া ইউনিয়নের মেঘনা তীরবর্তী নদী ভাঙ্গনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেতে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছেন স্থানীয় মানুষ ও সাধারণ জনগণ।
বুধবার (১৬ জুলাই ) আসর নামাজের পর এই দোয়ার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় জনগণ, বিভিন্ন মাদ্রাসার আলেম-ও-ছাত্ররা অংশগ্রহণ করেন।
এলাকাবাসীর আল্লাহর কাছে একটাই চাওয়া — যেন তাদের ফসলী জমি ও ভিটে বাড়ি হারাতে না হয়। বর্ষাকাল শুরু থেকেই নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে, যা ভোলার খাল সংলগ্ন এলাকা সহ প্রায় ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। মাত্র কয়েক মিটার দূরেই অবস্থিত শহর রক্ষা বেরীবাধ। যদি এই বেরীবাধ ভেঙে যায়, তাহলে পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে ভোলা শহরসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা।
জানা গেছে, শিবপুরের নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা থেকে ভোলা সদরের যুগিরগোল পর্যন্ত দূরত্ব মাত্র ৪ কিলোমিটার। এই এলাকাজুড়ে রয়েছে কয়েকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২০টিরও বেশি প্রাথমিক স্কুল, ভোলার একমাত্র উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভোলা সরকারি কলেজ এবং ভোলার ২০ লাখ মানুষের চিকিৎসার শেষ ঠিকানা ভোলা সরকারি হাসপাতালসহ সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এই স্থাপনা রক্ষায় দ্রুত মেঘনার ভাঙ্গন থেকে শিবপুরকে রক্ষা করা প্রয়োজন।
মেঘনার এই ভাঙ্গনে শিবপুর ও মেদুয়ার হাজার হাজার মানুষ তাদের ফসলী জমি ও ভিটে বাড়ি হারিয়ে প্রায় নিঃস্ব হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগের মাধ্যমে বালি ফেলে ভাঙ্গন থেকে রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তবে পানির প্রবাহের কারণে জিও ব্যাগগুলোও তলিয়ে যাচ্ছে এবং ভাঙ্গন রোধ হচ্ছে না।
এলাকাবাসীর এখন একটাই দাবি — নিরাপদ, টেকসই বদ্ধনির্মাণসহ সিসি ব্লক দিয়ে এই ভাঙ্গন রোধ করা হোক।
একুশে সংবাদ/ভো.প্র/এ.জে