পবিত্র আশুরা উপলক্ষে ১০ মহররম ১৪৪৭ হিজরি, রবিবার (০৬ জুলাই) পাবনার সুজানগর উপজেলার চলনা আঞ্জুমানে কাদেরিয়া খানকাহ শরীফে অনুষ্ঠিত হয়েছে শোক মিছিল ও আলোচনা সভা। ঐতিহাসিক কারবালার শোকাবহ ঘটনার স্মরণে আয়োজিত এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন শতাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলমান।
সকাল ৯টা ১১ মিনিটে খানকাহ শরীফ থেকে শোক মিছিল শুরু হয়ে সুজানগর বাজার প্রদক্ষিণ করে পুনরায় খানকাহ শরীফ প্রাঙ্গণে ফিরে আসে। শোক মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা কালো পোশাক পরে, হাতে কালো পতাকা নিয়ে ‘হায় হুসাইন’ ধ্বনিতে ইমাম হুসাইন (আ.) ও তাঁর সঙ্গীদের শাহাদাতের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
শোক মিছিল শেষে খানকাহ শরীফের কাদেরিয়া মসজিদে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন খতিব মাওলানা মুহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম ক্বাদেরী। তিনি কোরআন ও হাদিসের আলোকে আহলে বাইত, পাক পাঞ্জতন (আ.) এবং কারবালার ঘটনার তাৎপর্য তুলে ধরেন। বক্তা বলেন, ‘ইমাম হুসাইন (আ.) অন্যায়ের সঙ্গে আপস না করে জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছেন সত্যের পথেই ইসলামের বিজয়।’
আলোচনার পর মাতম, মিলাদ, ক্বিয়াম ও আখেরী মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাতে রাসুল (সা.) ও তাঁর আহলে বাইতের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে মৃত্যুর তৌফিক কামনা করা হয়।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, ৬১ হিজরির ১০ মহররম কারবালার প্রান্তরে ইয়াজিদের সেনাবাহিনীর সঙ্গে অসম যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেন ইমাম হুসাইন (আ.) ও তাঁর পরিবার-পরিজনসহ ৭২ জন সঙ্গী। ইমাম হুসাইন (আ.) ইসলামের সত্য ও ন্যায়ের পতাকা উঁচু রাখতে নিজের জীবন উৎসর্গ করেন, যা আজও মুসলিম বিশ্বের জন্য অনন্য প্রেরণা।
প্রতিবছর এ আয়োজন সুচারুভাবে সম্পন্ন হয় আওলাদে রাসুল (স.), সিলসিলা-এ-কাদেরিয়া রাজ্জাকীয়ার সাজ্জাদানাশীন হুযুর পাক হযরত সৈয়দ শাহ ইয়াসূব আলী আল-ক্বাদেরী আল-হাসানী আল-হুসাইনী আল-বাগদাদী (মাঃজিঃআঃ)-এর তত্ত্বাবধানে। ধর্মপ্রাণ মানুষদের পদচারণায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠে খানকাহ শরীফ প্রাঙ্গণ।
শেষে বক্তারা আহ্বান জানান— ইমাম হুসাইন (রা.)-এর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এবং ইসলামের মূলবান শিক্ষা অনুসরণ করে জীবন গঠন করতে।
একুশে সংবাদ/রা.প্র/এ.জে