ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ হওয়া কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার তিন শিক্ষার্থীর মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার দত্তেরবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৯ জন শিক্ষার্থী একটি নৌকায় করে নদী পার হচ্ছিল। পথিমধ্যে নৌকাটি ডুবে গেলে ৬ জন সাঁতরে তীরে উঠে আসতে পারলেও ৩ জন নিখোঁজ হয়। পরে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালায় এবং একজনের মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত শিক্ষার্থীর নাম শাপলা (১৫)। সে পাকুন্দিয়ার চর আলগী গ্রামের মাইনুদ্দিনের মেয়ে এবং বিরইন নদীপাড় দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
নিখোঁজ দুই শিশু শিক্ষার্থী হলো—একই এলাকার মুমতাজ উদ্দিনের ছেলে জুবায়েদ (৬) এবং হাবিব মিয়ার ছেলে আবির (৭)। তারাও একই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
ঘটনাস্থল থেকে পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, "দুঃখজনক এ ঘটনায় একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ বাকি দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।"
কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ,"খবর পাওয়ার পরপরই আমাদের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। এখনো নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর সন্ধানে অভিযান চলছে।"
এদিকে, দীর্ঘদিন ধরে এই অঞ্চলে একটি সেতুর দাবি থাকলেও তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি। স্থানীয় চর আলগী গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজ আশরাফ শান্ত বলেন, “প্রতি বছরই এমন দুর্ঘটনা ঘটে। একটি সেতু থাকলে শিশু শিক্ষার্থীদের আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে হতো না।”
উল্লেখ্য, দুর্ঘটনাস্থলটি প্রশাসনিকভাবে ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত হলেও নিহত ও নিখোঁজ শিক্ষার্থীরা কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার বাসিন্দা।
একুশে সংবাদ/কি.প্র/এ.জে