সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে চীনে শ্বশুর বাড়ি পৌঁছালেন ভোলার মেয়ে নাবিয়া। সাথে ছিল স্বামী ইরিছা চং। নববধূ সেখানে পেয়েছেন শ্বশুরবাডির সামাজিক মর্যাদা ও বধূবরণ সংবর্ধনা। ৫ মে বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মের রীতি অনুযায়ী বিয়ে হয় এই জুটির। এরপর, ১২ জুন তারা চীনে পাড়ি দেন।
প্রায় দুই বছর আগে ভেলুমিয়ার রনি হাওলাদারের সঙ্গে ইউচ্যাটে পরিচয় হয় চীনের লানজু শহরের বাসিন্দা ইরিছা চংয়ের। একপর্যায়ে বন্ধুত্ব গভীর হলে গত ১১ এপ্রিল বাংলাদেশে এসে রনির বাড়িতে এক মাস অবস্থান করেন তিনি। এ সময় রনির ছোট বোন কলেজছাত্রী নাবিয়াকে ভালোবেসে ফেলেন এবং তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন।
প্রথমে মেয়ের পরিবার বিয়েতে অনাগ্রহী থাকলেও পরবর্তীতে পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে বিয়েতে রাজি হয়। বিয়ের পর এলাকাজুড়ে ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি হয়। চীনা জামাইকে এক নজর দেখতে ভিড় করেন হাজারো মানুষ।
ইলিয়াস হাওলাদার জানান, শুরুতে তারা বিয়েতে রাজি ছিলেন না। তবে খোঁজ নিয়ে দেখেন ইরিছা একজন মুসলিম, নিয়মিত নামাজ পড়েন এবং ইসলামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছেন। এরপরই মেয়েকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তারা। অতঃপর, সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের চন্দ্রপ্রসাদ গ্রামের ইলিয়াস হাওলাদারের মেয়ে নাবিয়া আক্তারের সঙ্গে চীনা যুবক ইরিছা চংয়ের ৫ মে রাতে ১০ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে সম্পন্ন হয়। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
ইরিছা চং জানান, তিনি লানজুর একটি মাদরাসার ছাত্র। তিন ভাই-বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। বাংলাদেশি মেয়ে নাবিয়াকে বিয়ে করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছেন বলে জানান তিনি।
নাবিয়ার পারিবারিক সূত্র জানায়, চীনে তাদের মেয়ে সুখে শান্তিতে আছে এবং নাবিয়ার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে তাদের বধূ হিসেবে আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করেছে।
একুশে সংবাদ/মা.প্র/এ.জে